রীতিমতো আতঙ্ক জাগাচ্ছে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে গঙ্গাসাগর মেলা। যা নিয়ে বিপুল বিতর্ক বেঁধেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। মেলা বন্ধ করার পক্ষপাতী নয় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এর পিছনে কারন কি? গঙ্গাসাগর মেলার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ বিল্ডিংয়ের সমীকরণ রয়েছে। তাই গঙ্গাসাগল মেলা চলবে! কারণ মুখ্যমন্ত্রী এটা চান। এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যে দ্রুত অবনতি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির। এহেন পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন সুজন। বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা বিপজ্জনক। এতে সংক্রমণ বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে এটা সুপার স্প্রেডার। তাও রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলা করবেই। তিনি বলেন, যে সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন, তা আমরা নিচ্ছি না। সর্বনাশ করছি।
{link}
করোনা পরিস্থিতির জেরে কয়েকটি রাজ্য যে উৎসব, মেলা বন্ধ করে দিয়েছে, এদিন তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সুজন। জানান, ওড়িশায় মকর সংক্রান্তির স্নান বন্ধ, পোঙ্গল উৎসব বন্ধ। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে মকর সংক্রান্তির স্নানেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে চলবে। ওড়িশা, এমনকি বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড পারলেও, পশ্চিমবঙ্গ পারে না। এর পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ বিল্ডিংয়ের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, যেহেতু গঙ্গাসাগর মেলার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ বিল্ডিংয়ের সমীকরণ রয়েছে, তাই গঙ্গাসাগল মেলা চলবে! কারণ মুখ্যমন্ত্রী এটা চান। তিনি বলেন, গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দোকানপাট সব বন্ধ। কারণ সংক্রমণ ছড়াবে। কিন্তু গঙ্গাসাগরটা চলবে।
{link}
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দু মাস সব রকম মেলা, জমায়েত, নির্বাচন আয়োজনের বিপক্ষে বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই গঙ্গাসগর মেলার সিদ্ধান্ত তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। যে বিষয়টিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট ও ট্রোলিং দেখা গেছে। তার পরেই আজ সুজনের এই সমালোচনা-বাণ! গঙ্গাসাগর মেলার তিরে এখন রীতিমতো তিরবিদ্ধ অবস্থা তৃণমূলের।
{ads}