দলনীতির গেরোতেই এবার পায়ে বেড়া দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। নীতি গেরোয় এবার আর পুরভোটে টিকিট পাচ্ছেন না ফিরহাদ হাকিমের মতো শীর্ষ নেতৃত্ব সহ চার বিধায়ক! ফিরহাদ বাদে বাকি তিনজন হলেন অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার এবং দেবাশিস কুমার। এঁরা সবাই কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ হিসেবে কাজ করছেন। পুরসভায় তাঁরা দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞ। তবে নীতি গেরোয় এবার আর প্রার্থী হওয়া হচ্ছে তাঁদের। কি নীতি? একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলের নেওয়া এক ব্যাক্তি এক পদ নীতি।
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন মাস খানেকের মধ্যেই কার্যকর হবে এই নীতি। জেলা সভাপতিরা একই সঙ্গে মন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। নীতির গেরোয় পদ হারান অনেকে। ভেঙে ফেলা হয় কয়েকটি জেলা সংগঠন। সংগঠনের ভোল বদলে যাওয়ায় জেলা সংগঠন থেকে বাদ পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সৌমেন মহাপাত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায়, পুলক রায়, দিলীপ যাদব, বেচারাম মান্না, অখিল গিরি, মৌসম বেনজির নূর, মহুয়া মৈত্র, কোচবিহারের পার্থপ্রতীম রায়, আবু তাহের, শুভাশিস চক্রবর্তী সহ আরও বেশ কয়েকজন। যে নীতি কার্যকর হওয়ায় দলের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেস দলের একটি বড়ো অংশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
{link}
কলকাতা পুরসভার ভোটেও এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে বলেই তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর। আর তা হলে এবার আর পুরভোটে লড়া হবে না ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমারের। তৃণমূল সূত্রে খবর, এঁদের জায়গায় আনা হবে নতুন মুখ। ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই এমন সিদ্ধান্ত বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর। যদিও এখনও অবধি এই খবরে শিলমোহর পড়েনি। এহেন নেতৃত্বেরা যে আসনে দাঁড়াবেন সেখানেই জয় কার্যত নিশ্চিত ঘাসফুলের। এহেন জেতা আসন নিয়ে গবেষনা নাও করতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্বেরা। এতএব যতক্ষন পর্যন্ত না প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন…
{ads}