নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে অব্যাহত কল্যাণ তরজা। উল্লেখযোগ্যভাবে রাজীবকে দলে ফেরানো মেনে নিতে পারেননি তিনি। সেইখান থেকেই দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বিরোধ শুরু। এবার সেই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করলেন অভিষেকের ভাই। টুইটারে তিনি লিখলেন, শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কল্যাণের বিরুদ্ধে ক্রমেই চড়ছে ক্ষোভের পারা? দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আর সেই কল্যাণের গুরুত্ব নেই?
অভিষেক বিতর্কে মুখ খুলে ইতিমধ্যেই দলের রোষানলে পড়ছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দাররা। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতকের পদ থেকে কল্যাণের পদত্যাগ দাবি করেছেন অপরূপা। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরবও হয়েছেন তিনি। বিতর্ক চলেছে কুণাল-কল্যাণেরও। নাম না করে কল্যাণকে নিশানা করেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রও। এবার শ্রীরামপুরের সাংসদকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ভাইও। শুক্রবার রাতে তৃণমূলের একটি অতি পরিচিত স্লোগানের আদলে অভিষেকের তুতো ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়।
{link}
তরজায় যোগ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোনের মেয়ে অদিতি গায়েনও। শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তিনি। অদিতির রি-টুইট করে সেই পোস্টে লেখা রয়েছে, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আজ সর্বজনবন্দিত।যারা ঈর্ষান্বিত হচ্ছেন, তারা বিশ্রাম নিন। নেতা তিনিই, যিনি মানুষের কথা বলেন। স্বার্থান্বেষী, ঈর্ষাকাতর যারা, তারা রাজনীতির অ-কল্যাণ। তবে এতেই থেমে থাকেননি অদিতি। টুইটারে জারি রেখেছেন আক্রমণ।
{link}
কল্যাণ বিতর্কে ইতি টানতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কল্যাণ এবং তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তার পরেও যে তরজা জারি রয়েছে, অভিষেকের ভাইয়ের মন্তব্যই তার প্রমাণ। এই দিক থেকে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনীতিতে যথেষ্ট দাপুটে নাম তাও স্পষ্ট। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মতামত পোষন করাতেই বর্তমানে বিপদে পড়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভবিষ্যতে কোন দিকে হাওয়া বয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে এহেন বিরুদ্ধাচারন করতে থাকলে যে কল্যাণের জন্য আসন্ন সময় খুব একটা সুখকর নাও হতে পারে তা স্পষ্ট।
{ads}