নির্দল-কাঁটা নির্মূল করতে বহিষ্কারকেই হাতিয়ার করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতা পুরসভার ভোটে যার সূচনা, তার প্রয়োগ অব্যাহত রাজ্যের আসন্ন চার পুরনিগমের ভোটেও। যে কারনে কলকাতা পুরসভা ভোটে জয়ী নির্দল প্রার্থীদের দলেও নেওয়া হয়নি ফলপ্রকাশের পর। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার। দল বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। শুধু তিনি নন, ওই একই কারণে এদিন বহিষ্কার করা হয়েছে আরও আটজনকে।
{link}
চলতি মাসের ২২ তারিখে ভোট হবে শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমের ভোট। ওই ভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন বিকাশ সরকার। ওই ওয়ার্ডে দলের অফিসিয়াল প্রার্থী তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রতুল চক্রবর্তী। দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় ও দল বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় তাঁকে পদ ও দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। কেবল বিকাশ নন, তাঁকে মদত দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদীপ কুন্ডুকেও। মল্লিকা দেবনাথ, মাসুম কাপুর, রিনা দাস, স্বপন দাস, হীরেন রায়, বাপি ঘোষ ও তপন সাহার মতো নেতানেত্রীকেও।
{link}
কলকাতা পুরসভার ভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। দলের অফিসিয়াল প্রার্থীকে হারাতে পারেননি তিনি। উল্টে নিজেই ধরাশায়ী হয়েছেন। ভোটের ফল বেরনোর পর তাঁকেও বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। শিলিগুড়িতে দলের নয় হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের ইঙ্গিত পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা নিখিল সাহানি। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে এই প্রার্থী হওয়া নিয়ে ভালোই জলঘোলা শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। কিন্তু দল যথাযথ প্রক্রিয়াতেই তাদের আত্মসম্মান নিয়েই পদক্ষেপ করছে, যে কারনে কোপ নেমে আসছে বিদ্রোহীদের উপর।
{ads}