২১ জুলাই মানেই তৃণমূলের কাছে শহীদ দিবস পালন এবং তার পাশাপাশি একটি পরবর্তী সময়ের শপথ নেওয়ার দিন। কিন্তু দেই দিনেই আবারও এক দলীয় কর্মীকে হারাল ঘাসফুল শিবির। ২১ জুলাই রাতেই খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম শুভ্রজিৎ দত্ত। বিরাটির বণিক মোড়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য। বছর ঊনচল্লিশের ওই দলীয় কর্মী খুনের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ করেছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২১ জুলাই সন্ধ্যায় বণিক মোড় এলাকায় পার্টি অফিসেই ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পিছু নেয়। আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। গুলির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। শুভ্রজিৎকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা কমপক্ষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। তার মধ্যে চার রাউন্ড গুলি লাগে ওই তৃণমূল কর্মীর বুকে।
{link}
বিশেষ একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, একুশে জুলাই দুপুরে বিরাটির ত্রাস বাবুলাল সিংয়ের সঙ্গে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বচসা হয়। পরে তা আকার নেয় হাতাহাতির। বাবুলালের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার বদলায় এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। দোষীদের গ্রেফতারি ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিক ভাবেই এখনও রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা প্রান কেড়ে নিচ্ছে বহু মানুষের। তা যেন মিটেও মিটছেনা। ভোটের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছিল হিংসার ঘটনা। সামনে আসতে শুরু করেছিল একাধিক হত্যা, মারামারির অভিযোগ। কোথাও বা প্রান হারাচ্ছেন বিজেপি কর্মী কোথাও বা তৃণমূল। এই হিংসার শেষ কোথায়? আদৌ শেষ হবে তো?
{ads}