ভোট পরবর্তী হিংসা ঘিরে রাজ্যে কম জলঘোলা হয়নি। সেই সমস্যা মেটেনি এখনও। বিজেপি নয়, এবার তৃণমূলের ভয়ে ঘরছাড়া যুব তৃণমূল নেতা। বর্ধমান শহরের শেখ সাহেব নামের ওই নেতার বাবা-মাকে মারধর করে দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মূলত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ঝামেলার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনার। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসায় বিরক্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, এই ঘটনাটি অনভিপ্রেত।
{link}
সূত্রের খবর অনুযাই এই দুই গোষ্ঠীর লড়াই আজকের নয়। জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসিকপুরে বাড়ি সাহেবের। ভোটের আগেও তাঁর অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে শ্যাম সায়রের জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা আবদুল রব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আবদুল তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সাহেব ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সভাপতি সাহেবের সঙ্গে আবদুলের গোষ্ঠীর ঠান্ডা লড়াই জারি রয়েছে। নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পর সাহেবের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
{link}
সাহেব বলেন, আমি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব কংগ্রেস সভাপতি। তাই আবদুলের রাগ। ভোটের ফল ঘোষণার দিন আমরা আবির খেলি। সেদিনই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী আমার অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে। ভয়ে আমি ঘরছাড়া। তিনি বলেন, আজ ফের আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকদের মারধর করে ঘর দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল কংগ্রেস করাই কি আমার অপরাধ? বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিৎ নয়। কারণ আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।
ভোটের আগে একাধিক রদবদলের ফলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বহু নেতা কর্মী। সেই কারনেই মনে হয়েছিল এখন হয়ত তৃণমূলের সংঘঠন সম্পূর্নভাবে দ্বন্দ্বমুক্ত। কিন্তু সেই ধারনা যে ভ্রান্ত ছিল তা আজকের ঘটনায় আবার স্পষ্ট হয়ে দাঁড়ালো।
{ads}