header banner

ভোট খোয়ানোর ভয়ে মুখে কুলুপ মুখ্যমন্ত্রীর?

article banner

চাঁদপুর সীমান্তে এবং ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লার একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে অধার্মিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে অর্ধেকেরও বেশি প্রশাসনিক জেলায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন হয়।এই ঘটনার নিন্দায় সারা বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে চারিদিকে চলছে বিক্ষ্যভ। ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে অনেকেই। এর মধ্যেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলতি মাসের শেষের দিকে। কিন্তু মুখ খোলেননি  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ভোট খোয়ানোর ভয়ে বাংলাদেশে পুজো মণ্ডপে হামলা হলেও, মুখে কুলুপ মুখ্যমন্ত্রীর। এভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমোর কড়া সমালোচনা করল বিজেপি। তবে বিজেপি যে হিন্দুদের কাছে দায়বদ্ধ, তাও জানিয়ে দিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। 

{link}
দুর্গামূর্তি ভেঙে, গুঁড়িয়ে, মণ্ডপ তছনছ করা হয়েছে বাংলাদেশে। অষ্টমীর দিনের ওই ঘটনায় ভাঙচুর করা হয়েছে সে দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইসকনের মন্দিরও। বাড়ি বাড়ি ঢুকে সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। হিন্দুদের ওপর এহেন অত্যাচার চালানোর কড়া নিন্দা করেছে আমেরিকাও। তবে অদ্ভুতভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হলেও, মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করেননি বলেও অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি নিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানে অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

{link}

বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর যে নাড়ির টান, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, তাঁর বাবা-দাদু এদেশের হলেও, মা বরিশালের। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ না খোলায় কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, দুধেল গাইরা খেপে যাবে, তাই চুপ রাজ্য সরকার। 
বিজেপির অভিযোগ, দোরগোড়ায় চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করে দলীয় প্রার্থীর হার নিশ্চিত করতে চান না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এই নীরব শীতলতা।

{link}

যে কোন উৎসব মানে মিলন মেলা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে এক আকাশের নীচে সমব্যাত করে দেয়।ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা মানুষ, আমাদের সবার রক্তের রঙ লাল। মনুষ্যত্তের পরিচয় দিয়ে একে অপরের উৎসবে শামিল হওয়াটাই কাম্য। দুর্ভাগ্য কিছু দুষ্কৃতী বিভিন্ন্য ধর্মের এই মেলবন্ধনকে ইর্শা করেন। শুধু তাই নয় এই সম্প্রীতির বন্ধন ভাঙ্গার জন্য তারা এমন কিছু করেন যার ফলে অশান্ত হয় সমাজ আতঙ্কিত হয় মানুষ, কলুষিত হয় দেশ। এদের সংশধন হবে কবে?

{ads}
 

news politics article Druga Puja Comilla Bangladesh Narendra Modi Shiek Hasina Dhaka Communal Violence West Bengal India

Last Updated :