একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর যেন আর বিজয়রথ থামতেই চাইছে না ঘাসফুল শিবিরের। আর সেই ঘাসফুলের ঝড়েই একের পর এক ধাক্কা ধেয়ে আসছে রাজ্যের পদ্ম শিবিরের দিকে। এবার বিজেপি গড়েই ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির! শিল্পশহর হলদিয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ল পদ্ম শিবির। হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির ভোটে ১৮টি আসনের একটিতেই জিততে পারেননি বিজেপি প্রভাবিত প্রার্থীরা। সবকটি আসনই পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। গেরুয়ার পাশাপাশি শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সিটুকেও। ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বলে সূত্রের খবর।
{link}
প্রতি দু'বছর অন্তর নির্বাচন হয় হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির। এই নির্বাচনের ফল নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল তৃণমূল, বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলেই। ১৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেন ৯৫৪ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে বন্দরের আধিকারিক ছিলেন ১৮৬ জন। সহ-সভাপতির আলাদা আসন রয়েছে। ৯৫৪ জনের মধ্যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬৫ জন। সিটুর ১৪১। আর বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭০।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া আসনটি পেয়েছিল বিজেপি। জয়ী হয়েছিলেন পদ্মপ্রার্থী তাপসী মন্ডল। সিপিএম থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। এতদসত্ত্বেও ইনস্টিটিউটের ভোটে পদ্ম-প্রভাবিত সংগঠন হেরে যাওয়ায় শুভেন্দুর নেতৃত্ব নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কারণ একসময় এই এলাকায় শুভেন্দুই ছিলেন শেষকথা। ফুল বদলের পর তাঁর রাশ যে ক্রমেই হালকা হচ্ছে এই ভোটের ফলই তার প্রমাণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভমত। গতবার ১৮টি আসনের মধ্যে কয়েকটি পেয়েছিল সিটু। এবার শূন্য হাতে ফিরতে হল তাদেরও। শিল্প শহরে একচ্ছত্র রাজ হল তৃণমূলেরই!
{link}
এই জয় যেমন একদিকে হলদিয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে তৃণমূলের তেমনই একইভাবে বিজেপিকে কিছুটা চিন্তায় ফেলবে। কারন একের পর এক উপনির্বাচনের হারের পর জয়ের মুখ আর কার্যত দেখতেই পারছে না বিজেপির শিবির। আবার সামনেই এগিয়ে আসছে হাওড়া ও কলকাতার মতো দুই গুরুত্বপূর্ন কর্পোরেশনের ভোট। এহেন চলতে থাকলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে দলীয় কর্মীদের মনোবলের উপর। লড়াকু মনোভাব আবার আদৌ ফেরানো সম্ভবপর হবে তো?
{ads}