দেবাঞ্জন কাণ্ডে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা! এখানে অনেক ঘাপলা আছে! সব ঘাপলা বলে দেব সুপ্রিম কোর্টে। আজ, শনিবারের বারবেলায় একথা বললেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ফাঁসাচ্ছেন! যার ফলে কার্যত এই কথা সত্যি হলে এক নতুন মোড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে দেবাঞ্জন কান্ডে।
{link}
তবে কি এবার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরনোর আশঙ্কা দেবাঞ্জনকাণ্ডে? কলকাতার বুকে প্রকাশ্যে শিবির করে জাল টিকা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার। যদিও প্রত্যেকেরই দাবি, তাঁরা কেউই চিনতেন না দেবাঞ্জনকে! কিন্তু তাদের সাথে ছবি দেখা গেছে সকলেরই।লকডাউনে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবসা ফেঁদেছিল প্রতারক দেবাঞ্জন। তার মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভুয়ো টিকার সরঞ্জাম মজুত করার অভিযোগ উঠেছে অশোকের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তালতলার ওই ওয়ার্ডের পুর কোঅর্ডিনেটর ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। অশোকের দাবি, ইন্দ্রানীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে ইন্দ্রানী আবার আঙুল তুলেছেন অশোকের দিকেই। শুরু হয়েছে একে অপরকে কাদা ছোড়াছুঁড়ির পর্ব। এখন কে যে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যে, তা বোঝা দায়।
{link}
দেবাঞ্জনকাণ্ডে নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে তৃণমূল। অস্বস্তিতে অশোকও। তবে ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সুদীপ ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ফাঁসাচ্ছেন। দেবাঞ্জনকে আমি চিনতামও না। ইন্দ্রানী মিথ্যা কথা বলছেন। আমি সিাআইডি তদন্ত চাইছি। না হলে হাইকোর্টে যাব। আমার মানহানি করতে এলে সুপ্রিম কোর্টে যাব। এর পরেই অশোক বলেন, এখানে অনেক ঘাপলা আছে! সব ঘাপলা বলে দেব সুপ্রিম কোর্টে।
{link}
সবদিক বিচার করে একথা বলা যায় যে এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই নাম জড়াতে তৃণমূল ইচ্ছুক না হলেও একের পর এক নাম জড়াচ্ছে ঘাসফুলের নেতৃত্বদের। সময় যত এগোচ্ছে সামনে আসছে নতুন নতুন নাম। এখন তারা আদৌ এই বইতে থাকা হাওয়া থেকে গা বাঁচাতে পারে কি না তাই দেখবার বিষয়।
{ads}