একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অনেকেই একে একে ছেড়ে গেছেন প্রথম সারির নেতারা।কিছুমাস আগেই ফের প্রায় সাড়ে ৩ বছর বিজেপিতে থাকার পর ফিরে মুকুল রায় ফিরে গেছেন তৃণমূলে। এমতবস্থায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে জগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রি বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যে ৩টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ। তিনটি কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয় লাভ করে শাসক দল। গোহারা হারতে হয় বিজেপিকে। এরমধ্যেই কি ফের ধস নামতে চলেছে গেরুয়া ঘরে? সোমবার এই জল্পনায়ই মজে রইল রাজনৈতিক মহল। কারণ ভাড়ার টাকা না পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে। যদিও ভুল বোঝাবুঝি বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।
{link}
একুশের ভোটের আগে হাওয়া বিজেপির অনুকূলে আঁচ করে দলে দলে লোকজন নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। এর পরেই হিড়িক লেগে যায় শিবির বদলের। ভোটের আগে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরাই ফিরতে শুরু করেন জোড়াফুল শিবিরে। এঁদের মধ্যে অনেক হেভিওয়েটই ঠাঁই পেয়েছেন সবুজ শিবিরে। ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন একঝাঁক নেতা।
{link}
পুজোর আগে আগে দল ছাড়েন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। পুজো মিটতেই ফের বিজেপি ভাঙার আশঙ্কা। কারণ বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বাড়ি ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় চালাচ্ছিল বিজেপি। সেই ভাড়া না দেওয়ায় তিনি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তার পরেই অশোকের তৃণমূল যোগ নিয়ে জোরাল হয়েছে জল্পনা। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বেসুরো গেয়েছেন অশোক। অগস্ট মাসে সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি। ওই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ অশোক।
{link}
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলতি মাসের শেষের দিকে। গত পাঁচ মাসে বিজেপির ঘর ভেঙেছে একাধিকবার। প্রথমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যান দলবদলু মুকুল রায়। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন আরও তিন বিধায়ক। যদিয় এখনও পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক। তবে তাতে আপাতত ভবী ভুলছে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কোথাকার জল কতদূর গড়ায়, এখন তাই দেখার।
{ads}