বাঙালির রান্নাঘরে পোস্তো দিয়ে তৈরি রেসিপিগুলি আজ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সাধারণ ভাজা থেকে শুরু করে বাংলা নিরামিষ খাবারের মধ্যে নিষিদ্ধ উপাদানগুলি যেমন পেঁয়াজ পোস্তো, পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি বা রসুন দিয়ে তৈরি পোস্তো সহ প্রধান কোর্স পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি শহুরে উচ্চবিত্ত রান্নাঘরের আরও প্রবেশ করার সাথে সাথে এটি ডিম, বিভিন্ন মাছের প্রস্তুতি এবং মাংসে যোগ করা হয়েছিল।
{link}
বর্তমানে দামের গেরোয় পোস্ত খাওয়া মাথায় উঠেছে বাঙালির! এক সময় মাসের বাজারে কিলো কিলো পোস্ত কেনা হলেও, এখন পোস্ত বাড়ন্ত। কেউ মাসে একশো পোস্ত কিনেই সন্তুষ্ট, কেউ আবার দু মাসে কিনছেন ওই পরিমাণ পোস্ত। কেউ আবার অত দাম দিয়ে পোস্ত না কিনে, সেই পয়সা মুরগি খাচ্ছেন বাড়তি দুদিন। তবে দাম বেশি হলেও, পোস্তর গুণ যে অসীম তা জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। hজানা গিয়েছে, ডায়বেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে পোস্ত।
{link}
জানা গিয়েছে, নিয়মিত পোস্ত খেলে অনিদ্রা রোগ সারে। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে পোস্ত। তাই ঘুম হয় বিঘ্নহীন। পোস্তর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ কপার ও ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত পোস্ত খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পোস্তয় থাকা ম্যাঙ্গানিজ প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। নিয়মিত পোস্ত খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অদ্রবণীয় ফাইবার। তাই হজম ক্ষমতা বাড়ে। দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
{link}
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে পোস্ত। পোস্তর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওলিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিডই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পোস্তয় থাকা জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এই দুই উপাদান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম কিডনির স্টোন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। থাইরয়েডের চিকিৎসায় জিঙ্ক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই নিয়মিত পোস্ত খেলে থাইরয়েডের সমস্যা দূর হয়। পোস্ত খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই ম্যাঙ্গানিজ ডায়বেটিসের চিকিৎসায় কার্যকর। তাই যাঁরা নিয়মিত পোস্ত খান, তাঁদের ডায়বেটিসের আশঙ্কা কমে।
{ads}