header banner

পরিবারতন্ত্র থেকে বেরতে পারল না মমতার দলও

article banner

পরিবারতন্ত্র থেকে বেরতে পারল না মমতার দলও। দলের ব্যাটন যাতে বেহাত না হয় তাই অভিষেককে দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ। যে পদে বর্ষীয়ান কোনও রাজনীতিবিদের বসাই দস্তুর, অভিমত পর্যবেক্ষকদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনীতিতে তাঁর উত্থান লিফটে করে, সিঁড়ি ভাঙার পরিশ্রম তাঁকে করতে হয়নি। ২০১১ সালে তিনি দলে যোগ দিয়েছিলেন। ওই বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা। কাজেই, বিরোধী রাজনীতির পরিশ্রম তাঁকে সত্য়িই করতে হয়নি।

{link}

ওই বছরই অভিষেককে নেতা করে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, 'তৃণমূল যুবা' নামে আরও একটি নতুন যুব শাখা চালু করেছিলেন। পরে যুব তৃণমূলের সঙ্গে যুবাকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে বসানো হয় অভিষেককেই।এরপর থেকেই দলে তাঁর প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল। দলীয় সব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দলের বরিষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি তাঁর ডাক পাওয়াও নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালেই মাত্র ২৬ বছর বয়সে অভিষেককে  ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনে দাঁড় করানো হয় এবং জিতে সাংসদ হন তিনি।

{link}

এই মুহূর্তে মোদির জনপ্রিয়তা তলানিতে। ভাঙা কোমরে কোনওমতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে জাতীয় কংগ্রেস। আর রয়েছে ছন্নছাড়া আঞ্চলিক দলগুলি। জাতীয় রাজনীতির এই আবহে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রধান কারণ দুটো। এক, তাঁর মিসেস ক্লিন ইমেজ, আর দুই, লড়াকু মনোভাব। ঠিক এই দুটো কারণের জন্যই জাতীয় স্তরে দিনের পর দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন মমতা। 
মমতা জাতীয় রাজনীতির হাল ধরলে, রাজ্যরাজনীতির নৌকার দাঁড়টা শক্ত করে ধরতে হবে কাউকে। সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য অভিষেক ছাড়া আর কেই বা “বিশ্বস্ত” আছে! বিরোধীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতার রক্তে কংগ্রেস। আর কংগ্রেস মানেই পরিবারতন্ত্র। তাই তৃণমূলও এই পরিবারতন্ত্রের ফাঁস থেকে বেরতে পারেনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিবারতন্ত্রের ফল বিষময়। কংগ্রেসকে দেখেই এ ব্যাপারে শিক্ষা নিতে পারত তৃণমূল! সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসাতে পারত পোড়খাওয়া কোনও রাজনীতিবিদকে। 

{ads}
 

mamata benarji abhishek banerjee TMC West Bengal 8th June India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :