লক্ষ স্থির থাকলে স্বপ্ন পূর্ণ হয়। সামাজিক ভাবমূর্তি ও মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন উলুবেড়িয়ার সাহসী দুই কন্যা একজন জয়িতা কুণ্ডু ও অন্যজন প্রিয়াঙ্কা শাসমল এবং তাঁদের সঙ্গে পথ মিলিয়ে এগিয়ে এসেছেন আরও অনেক মানুষ । এক্সিলেটরে দিচ্ছে টান ,ছুটছে গাড়ি। গন্তব্য হাওড়া গ্রামীন জেলার সবকটি থানা। গাড়ির সামনে সাদা কাগজে লেখা "সচেতনতা মূলক ট্রিপ"।- ডি জে ও শব্দবাজির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে স্কুটি চালিয়ে মাইলের পর মাইল ছুটে চলেছেন দুই মহিলা। উদ্দেশ্য আসন্ন উৎসব হোক ডিজে ও শব্দবাজি বিহীন।
ডিজে ও শব্দবাজিবিহীন পরিবেশ সচেতনতা প্রচেষ্টার একটি গুরুত্ব বিষয় , প্রতি বছর উৎসবের আনন্দের মাঝে পরিবেশের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে থাকে এই দুই কৃত্রিম বিষয়। বয়স্ক মানুষদের বিশেষ করে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তাঁদের কাছে এই দুই বিষয় বিষের থেকে কম কিছু নয় । প্রতি বছর প্রশাসন থেকে প্রতিরোধের বাবস্থা নেওয়া হয় ।কিন্ত অনেক মানুষ এই নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে গিয়েও কাজ করেন । পুজার আর এক সপ্তাহ বাকি তাঁর আগেই মানুষের স্বার্থে এগিয়ে এসেছেন জয়িতারা ।
ডিজে ও শব্দবাজি বিহীন উদ্দেশ্যে কে সামনে রেখে উলুবেড়িয়ার মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির সম্পাদিকা জয়িতা কুন্ডু ও দক্ষিন মুর্গাবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা প্রিয়ঙ্কা শাসমল স্কুটি চালিয়ে ছুটে চলেছেন হাওড়া গ্রামীন জেলার থানা গুলিতে । থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তারা দিচ্ছে ডেপুটেশন।
বুধবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হল। সূচনা অনুষ্ঠানে মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির উদ্যোগে উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে চিত্রশিল্পী রনজিৎ রাউত, বিশ্বজিত জানা,শুভম মাদ্রাজী, নিকিতা মন্ডলরা বসেছিল রঙ তুলি নিয়ে, তাদের আঁকায় উঠে এলো সেই পরিবেশ রক্ষার বার্তা । পাশাপাশি শিল্পীরা পরিবেশন করলেন গান। পরে চিত্র শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে পদযাত্রা করে উলুবেড়িয়া থানাতে ডেপুটেশন দিল তারা । তারপর আবার বাইক নিয়ে দে ছুট শ্যামপুর, বাগনান,রাজাপুর থানা। সেখানে ডেপুটেশন জমা দিলেন জয়িতারা। ১৪ থেকে ১৬ ই অক্টোবর পর্যন্ত এই তিনদিন বাইক নিয়ে তাঁরা পৌঁছে যাবেন সব থানায় । ১৫ তারিখ আন্তজার্তিক গ্রামীন নারী দিবস। প্রিয়ঙ্কা এইদিন যাবেন বাউরিয়া, পাঁচলা, সাঁকরাইল ও ডোমজুড় থানাতে। শেষ দিন আমতা ,জয়পুর, উদয়নারায়ণপুর ও জগৎবল্লভপুর। জয়িতা বলেন “আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন আমাদের সাথে এক যোগে এই ডিজে ও শব্দবাজির বিরুদ্ধে কাজ করে। সেই আবেদন জানাতেই আমাদের এই কর্মসূচি। “ জয়িতার দাবী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই ধরনের কর্মসূচি সম্ভবত প্রথম।