শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় এই মুহূর্তে কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক মানুষ। লন্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে শৈলশহরের একাধিক অংশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা সামলে এই মুহূর্তে পুনরায় ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। তবে, স্বস্তির খবর এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে আর ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা নেই। যদিও, আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টি সাময়িকভাবে কিছুটা হলেও চাপে রেখেছে প্রশাসনকে। দ্রুত রাজ্যের এই অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্রটিকে ছন্দে ফেরানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
{link}
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা না থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলতে পারে। সেই বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। তবে, আগামী দিনে বর্ষা আর খুব বেশি সময় রাজ্যবাসীর সঙ্গী হবে না বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বর্ষা গুজরাটের বাকি অংশ থেকে এই বছরের মতো বিদায় নিতে পারে। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের একটি বড় অংশ থেকেও বর্ষার বিদায়ের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
{link}
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে নিম্নচাপের কারনে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়। একইসঙ্গে ভূমিধ্বসের কারনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মিরিক সহ দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষ ও বন্যপ্রাণীর। আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে কী না, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরে। অবশেষে এই ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রদান করল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে আপাতত আর কোনও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তবে দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি লক্ষ্যণীয় হতে পারে। আংশিকভাবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দমকা বাতাস বইতে দেখা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
{link}
যদিও, উত্তরবঙ্গের জন্য স্বস্তির খবর এলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গের মানুষের বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বর্তমান। একইসঙ্গে বৃষ্টি চলবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে দেখা যেতে পারে। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা। কিন্তু, বাংলার আবহাওয়া থেকে কবে বর্ষার বিদায়ঘন্টা বাজবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
{ads}