header banner

Live From @sheffieldttimes

Howrah: Once Ma kali was worshiped here by robbers!! Famous Siddheswari Kali Temple and it's history
LIVE Cyclone Dana News: Rains started due to impact of Cyclone Dana. The location of Dana is 460 km from Sagar Dwip.
Meeting with Junior Doctors
LIVE: Protestor's statement from Dharmatala hunger strike on Tuesday
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Earn Money: শীতকালে মরশুমি ফুলের ব্যবসায় প্রচুর লাভ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : প্রথম শর্ত কৃষি-কাজকে ভালোবাসতে হবে। যদি সামান্য জমি থাকে ও কৃষি-কাজে মন থাকে তাহলে মরশুমি ফুলের চাষ করে প্রচুর লাভ করা সম্ভব। মুরশুমি ফুলের নার্সারি বর্তমানে বিকল্প রোজকারের পথ দেখাচ্ছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, ক্যালেন্ডুলা সহ নানা শীতকালীন ফুল বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গায় শোভা পায় প্রতিটি পরিবারে। ফলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এমন কি জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন শীতকালীন (Winter) ফুল গাছের চাহিদা বাজারে থাকে। ফলে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। {link} শীতের সময়টা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাড়ির সামনে উঠোনের একটু ফাঁকা জায়গা হোক বা ছাদে তবে শীতকালীন নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগান বহু মানুষ। ফলে নার্সারি থেকে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা সহ নানান ধরনের ফুলের গাছ বহু সংখ্যক বিক্রি হয়। ফলে এবার শীতের আগেই মরশুমি ফুল গাছের ব্যবসা আপনাকে লাভবান করে তুলবে। এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম একাধিক নার্সারি মালিক ও কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, এই শীতকালীন ফুলের নার্সারি খুব সহজেই কম জায়গায় তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে এটি একটি বিকল্প রোজগারের পথ। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার একটি আদর্শ উপায়। {link} সামান্য খরচে ছোট্ট জায়গায় মুরশুমি ফুল গাছের নার্সারি থেকে মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে এক নার্সারীর মালিক জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন মুরশুমি ফুল ও ফল চারা গাছে নার্সারি করেছেন। এখান থেকে রোজকার হচ্ছে ভালই। তিনি  আরও জানান, নিজের হাতে বীজ থেকে বা কলম পদ্ধতিতে গাছ তৈরি করেন না। অন্য কোন বড় নার্সারি থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন চারা গাছ নিয়ে আসেন। এবং তা খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। আর তাতেই লভ্যাংশের পরিমাণ যথেষ্ট ভাল। বর্তমান সময়ে গাছ লাগান বহু মানুষ। নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ফলের চারা গাছের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের মরশুমী বিভিন্ন শীতকালীন ফুল ও ফল চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। সহজেই এই নার্সারি তৈরি করে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে। {ads}

article thumbnail

Tata group: বিকশিত ভারত’ গঠনে পদক্ষেপ নেবে টাটা গ্রুপ

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : রতন টাটা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে, টাটা গ্রুপ কিন্তু থেমে থাকে নি। তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েই চলেছে। অটোমোবাইল, প্রযুক্তি থেকে স্বাস্থ্য- বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটার বিশাল কর্মকাণ্ড চলে দেশ জুড়ে। আগামী কয়েক বছরে এই গ্রুপের হাত ধরে কর্মসংস্থান যে আরও বাড়বে, সে কথাই জানালেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ১০২৫ সালে তাঁরা কয়েক লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবেন। মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ফর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন এন চন্দ্রশেখরন। {link}   তিনি জানান, তাদের আগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। দেশের বেকারত্বর কথা ভেবে তাঁরা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পকে আরও বাড়াতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে নির্মাণ ক্ষেত্রে অন্তত ৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে টাটা গ্রুপ। ভারতকে উন্নততর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজে এই সংস্থা যে পদক্ষেপ করছে, তার উল্লেখ করেন তিনি। টাটা-র ই শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি, সেমিকন্ডাকটারের মতো ক্ষেত্রে এই নিয়োগ হবে। চন্দ্রশেখরনের মতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে উন্নতি না হলে, দেশের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে না। ‘বিকশিত ভারত’ ভারত গঠনে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি বলে মনে করেন তিনি। {link} এন চন্দ্রশেখরন উল্লেখ করেছেন, সেমিকনডাক্টার, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটা গ্রুপ যে বিনিয়োগ করেছে, তাতে আগামী ৫ বছরে ৫০ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি হবে। চাকরির যারা সন্ধান করছেন, তাঁরা নিয়মিত টাটাদের বিজ্ঞাপন লক্ষ রাখুন। {ads}

article thumbnail

Budget Expectations: আসন্ন বাজেটটিতে কী কী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র? পড়ে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: 2024-25 আর্থিক বছরের সম্পূর্ণ বাজেট প্রকাশিত হওয়ার মাঝে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। চলতি বছরের জুলাই মাসের 23 তারিখ, অর্থাৎ পরবর্তী সপ্তাহের মঙ্গলবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই মোদি সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাজেট ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসছে, এটিকে কেন্দ্র করে থাকা উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আসন্ন বাজেটে বেশ কয়েকটি খাতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে কেন্দ্র। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির মতে কনজিউমার গুডস, আবাসন, হাউজিং ফিনান্স, অটোমোবাইল ছাড়াও পরিকাঠামোর মত শিল্পগুলি ক্রয়ের উন্নতির কারণে বাজেট থেকে উপকৃত হতে পারে। কোন কোন খাতে দেওয়া হতে পারে বিশেষ নজর? দেখে নিন-  {link} গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত খাত গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার আসন্ন বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। বাজেটে সরকার ক্রয় বা খরচ বাড়ানোর জন্য গ্রামীণ প্রকল্পগুলিতে আরও ফান্ড বরাদ্দ করতে পারে। ফলে এর থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা খাতগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  আবাসন আসন্ন বাজেটটিতে সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারে। আবাসন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা হলে দেশের আরও মানুষ নিজেদের ঘর পেতে সক্ষম হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে। উৎপাদন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার উৎপাদন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। সেই কারণেই PLI স্কিমগুলিতে ধারাবাহিকতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাজেটে উতপাদন খাতটিও বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  {ads}

article thumbnail

Split In Godrej : ভাঙন ধরল গোদরেজ পরিবারে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  ১২৭ বছর এক ছাদের নীচে থাকা। শেষমেশ সেই পরিবারেই ধরল ভাঙন। দু’টুকরো হয়ে গেল গোদরেজ গোষ্ঠী (Split In Godrej)। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গোদজের গ্রুপের সমস্ত সংস্থাকে নিজেদের মধ্যে দু’টি ভাগে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দরজার তালা থেকে গায়ে মাখার সুগন্ধী সাবান, ফ্রিজ, আলমারি সহ গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র বিক্রি করে গোদরেজ। টাটার মতো গোদরেজও ভারতীয় পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলির অন্যতম। সংস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৮৯৭ সালে, আর্দেশির গোদরেজের হাত ধরে। {link} ওকালতি পেশা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন আর্দেশির। পরে গোদরেজ গোষ্ঠীর হাল ধরেন আর্দেশিরের ভাই পিরোজশা ও তাঁর উত্তরসূরিরা। এখন গোদরেজের মালিকানা ছিল পিরোজশার প্রপৌত্র আদি ও নাদির গোদরেজ এবং জামশেদ ও স্মিতা গোদরেজ ক্রিশনার হাতে। গোদরেজ গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিকে এই চারজনের মধ্যেই দু’ভাগে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের অধীনে থাকা পাঁচটি লিস্টেড সংস্থার রাশ থাকছে আদি ও নাদিরের হাতে। এই সংস্থাগুলি হল গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাক্রোভেট এবং অ্যাজটেক লাইফসায়েন্সেস। এই সংস্থাগুলির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বছর তিয়াত্তরের নাদির। {link}   এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান আদির ছেলে পিরোজশা। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের অগাস্টে তিনিই বসবেন নাদিরের চেয়ারে (Split In Godrej)।গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের অধীনে থাকা আনলিস্টেড সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে জামশিদ গোদরেজের হাতে। গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজের অধীনে রয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট সংস্থা। এর মধ্যে বিমান পরিবহণ,এয়ারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, আসবাবপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও রয়েছে। এই সংস্থাগুলির চেয়ারপার্সন ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হবেন জামশেদ। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিরিকা। মুম্বই শহরের মূল অংশে থাকা ৩ হাজার ৪০০ একর জমির রাশ থাকবে জামশেদ ও স্মিতার হাতে।জামশেদ বলেন, “১৮৯৭ সাল থেকে দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছে গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজ। ভবিষ্যৎমুখী এই চুক্তির ফলে আগামী দিনে জটিলতামুক্ত হয়ে নিজেদের লক্ষ্য এগোতে পারব আমরা। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারব।” নাদির বলেন, “মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে ভর করেই ১৮৯৭ সাল থেকে এতদূর এগিয়েছি আমরা। আরও মনযোগ ও তৎপরতা সহকারে সেই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা (Split In Godrej)।” {ads}

article thumbnail

Norse Atlantic Airways: আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে নামল অতিকায় বিমান, জানুন কী বলছে সংস্থা

Norse Atlantic Airways: এই প্রথম বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করল আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে। নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি অবতরণ করেছে প্রায় দু’ মাইল দীর্ঘ ওই রানওয়েতে। এর আগেও একবার একটি যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করেছিল আন্টার্কটিকায়। বছর দুই আগে আন্টার্কটিকার ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়েতে অবতরণ করেছিল ছোট ওই বিমানটি। এবার অবতরণ করল বড় বিমান। গত বুধবার সেটি ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়ে ছোঁয়। বিমানটি ৩৩০জন যাত্রী পরিবহণ করতে পারে। গত সোমবার বিমানটি অসলো থেকে আন্টার্কটিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে কিছুক্ষণের জন্য থামে। বুধবার অবতরণ করে ব্লু আইস রানওয়েতে। রানওয়েটি চওড়ায় ৬০ মিটার।  {link} নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) তরফে ব্লু আইস রানওয়েতে অতিকায় যাত্রিবাহী বিমানের অবতরণকে মাইলফলক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই এয়ারওয়েজের সিইও বজর্ন টোরে লারসেন বলেন, “আমাদের এই সাফল্যের নেপথ্যে সংস্থার প্রতিটি কর্মীর অবদান রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বোয়িংয়ের পাইলট ও অন্য ক্রু-দের।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের গোটা টিমের পক্ষে একই সঙ্গে সম্মানের ও উত্তেজনার। কারণ আমরাই প্রথম ব্লু আইসে বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করাতে পেরেছি। আবিষ্কারের স্পিরিট নিয়ে আমরা এ কাজ করেছি। আমরা এজন্য গর্বিত। এটি আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ পাইলট ও ক্রু-দের প্রকৃত পরীক্ষার জীবন্ত দলিল।” {link} বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও পণ্য যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে একজন নরওয়ের পোলার ইনসস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। ছিল গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ১২ টন সরঞ্জামও। ঐতিহাসিক এই ঘটনার প্রমাণ স্বরূপ সংস্থার (Norse Atlantic Airways) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। {ads}

article thumbnail

Nobel Prize: গবেষণা পথ দেখিয়েছিল কোভিডের প্রতিষেধক তৈরিতে, চিনে নিন দুই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানিকে

Nobel Price: তাঁদের গবেষণা সাহায্য করেছে কোভিডের এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে। তার জেরে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণার জন্যই এবার নোবেল পুরস্কার পেলেন কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইম্যান। কাতালিন কারিকো হাঙ্গেরির সেজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপকও। আর ড্রু ওয়াইসম্যান ভাকসিন গবেষণার অধ্যাপক ও পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনের ডিরেক্টর। এই টিকা নিয়ে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালান কাতালিয়া কারিকো এবং ড্রু ওয়াইসম্যান। {link} সোমবার নোবেল কমিটির তরফে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে এমআরএনএ কীভাবে সাড়া দেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করেছে তাঁদের যুগান্তকারী অনুসন্ধান। বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি টিকা তৈরিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। {link} নোবেল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, পুরস্কার ঘোষণার আগে যখন আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন দুই বিজ্ঞানীই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে অভিভূত হন। গত বছর মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো। ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা বাবা সুনে বার্গস্ট্রমও।  {ads}

article thumbnail

পুজো সংখ্যা ১৪২৮

আরো পড়ুন

বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের

পুজোর যে আনন্দ তাতে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারী। মনের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক, ভয় যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল শেষ বছরেই। অতিমারী করোনা কেড়েছিল পুজোর জৌলুস। কিন্তু এবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই এবারও ঘটা করে পুজো হবে তমলুকের নন্দকুমারের বনেদি বাড়িতে। বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের। করোনার জন্য তা বন্ধ থাকছে এবছরও। যদিও অন্নভোগই নিবেদন করা হবে দেবীকে। {link}  পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল তমলুক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই জনপদের নাম। এই তমলুকেরই ব্যবত্তারহাট এলাকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবার গত চারশো বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করে আসছেন দেবী দুর্গার। বছরের পর বছর সুচারুভাবে পুজো হয়ে এলেও, করোনা অতিমারীর কারণে তা যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে এই দু বছর। তমলুকের রাজা তাম্বধ্বজের ব্যবস্থাপক ছিলেন এখানকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষরা। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। এই ব্যবত্তা পরিবারের পূর্ব পুরুষ ছিলেন সার্থক রাম। একবার সার্থক রামের মা দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন পাশের একটি গ্রামে। সেখানে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে এ বাড়িতে। কালক্রমে সেই পুজোই হয়ে আসছে দুই পরিবারের পারিবারিক পুজো। সুপ্রাচীন প্রথা মেনে আজও দেবীকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ অন্নভোগ। {link} এ বাড়িতে দেবীকে নিজের হাতে তৈরি বড়ি দিয়ে ভোগ দেন মহিলারা। ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে দেবীকে নিবেদন করা হয় এক মণ ছ সের চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নানা পদ। অষ্টমীতে ভোগের চালের পরিমাণ বেড়ে হয় এক মণ ৮ সের চাল। আর নবমীতে চালের পরিমাণ হয় এক মণ ন সের। রীতি মনে এখনও হয় সন্ধিপুজো। সেখানেও দেবীকে নিবেদন করা হয় খিঁচুড়ি ভোগ। দশমীতে হয় দধিকর্মা। সিঁদুর খেলার পর বিসর্জন হয় দেবীর। এ বাড়িতে হাজার খানেক সলতে পোড়ানো হয়।  জমিদার আমলের দুর্গামণ্ডপ ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন মণ্ডপ। এতদিন দেবীকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ খাওয়ানো হত দর্শানর্থীদের। করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ। অন্য সমস্ত পুজোগুলির মতো বদল আনা হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার রীতিতেও। আগে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া গেলেও, অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়েছে শুধুই করজোড়ে প্রার্থনা। কিন্তু যা কমেনি তা হল পুজোর এই দিনগুলিতে ঘরে আসা মায়ের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের… তারপরেই আবার বছর ঘুরে মা আসবেন তমলুকের নন্দকুমারের বাড়িতে।  {ads}

article thumbnail

আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীর

একসময় দেবীর আশির্বাদে মুক্তি মিলেছিল মহামারীর প্রকোপ থেকে। তাই আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীরও। তিনশো বছরেরও বেশি সময় আগে যখন পুজো শুরু হয়, তখনও পুজো হত মহামারীর। প্রজাদের কল্যাণে প্রতিদিন পোড়ানো হয় দেড় কুইন্টাল খই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির এটাই রীতি। এখনও এবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে গাওয়া হয় চণ্ডীমঙ্গল, ভারতগান। তিনশো বছর আগেও মহামারী হত। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল বেশ অনুন্নত। রোগের প্রকোপে উজায় হয়ে যেত গাঁয়ের পর গাঁ। তাই প্রজাদের মঙ্গলের জন্য মহামারীর পুজো শুরু হয় জমিদার দাস মহাপাত্রদের বাড়িতে। এবারও করোনা অতিমারীর হাত থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে প্রার্থনা করবেন এই পরিবারের সদস্যরা।  {link} কটকের খোরদার থেকে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে আসছিলেন জনৈক বিরিঞ্চি মোহান্তি। দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করেন। সুস্থ হয়ে জমিদারের সেরেস্তায় কাজ করতে শুরু করেন বিরিঞ্চি।  {link} বয়সকালে কাশী যাবেন মনস্থ করেন জমিদার। জমিদারি লিখে দিতে চান বিরিঞ্চিকে। বিশ্বস্ত কর্মচারী বিরিঞ্চি জমিদারকে প্রস্তাব দেন অর্ধেক সম্পত্তি জমিদারের মেয়েকে দিয়ে বাকিটা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার। সেই মতো অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়ায় থেকে যান বিরিঞ্চি। {ads} বিরিঞ্চির দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয় জমিদার। ছোট ছেলের জমিদারিতেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই ভাগের উত্তরসূরিদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর কয়েক পুরুষ আগে মোহান্তিরা ইংরেজদের কাছ থেকে উপাধি পেয়ে দাস মহাপাত্র হয়ে গিয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ রাজার দেওয়া উপাধি চৌধুরীও ব্যবহার করেন। প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় এ বাড়িতে। চলে দশমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই পুজো হয় মহামারীর। পোড়ানো হয় খই। দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য। এবারেও সেই নীতি মেনেই হবে পুজো। দেবীর আশির্বাদে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলুক পৃথিবীবাসীর এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে করছেন সকলে।  {ads}

article thumbnail

উত্তর দিনাজপুরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

বাংলার কাছে সবচেয়ে উৎসব মুখর দিনগুলিতে যে ঠাকুরের পূজা সম্পন্ন হয়, তিনি নিজে মাতৃরূপে বাঙালির ঘরে আসেন। কিন্তু সেই মায়ের পুজোতেই পুজোর দিনগুলোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের। সংসারের এহেন নিয়ম দেখলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এই রীতিই চলেও আসছে বহু বছর ধরে।  উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় এটাই রীতি। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার দর্শন করেন এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। জমিদারি এখন আর নেই। তাই সেই জাঁকও আর নেই। তবে পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই। {link} রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরেই বাস সেনেদের। এক সময় এঁদের বাস ছিল বাংলাদেশের যশোরে। পুজোর সূচনা করেন সুরেন্দ্রনাথ সেন। পরে বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে সেন পরিবার চলে আসেন রায়গঞ্জে, সুদর্শনপুরে। এখানে এই পুজো পড়ল ৭৬ বছরে। বাংলাদেশে যে রীতি মেনে পুজো হত, এখানেও তেমনটাই হয়। বৈষ্ণব নয়, এখানে পুজো হয় শাক্ত মতে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই বলি হয়। এ বাড়ির পুজোয় ছেলেরা অংশ নিতে পারলেও, মেয়েরা পারেন না। তবে মন্দিরের চাতালে বসে দেবদর্শন করতে পারেন।  {ads} কর্মসূত্রে বর্তমানে সেন পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনশো বছর আগে পুজো শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত একবারও পুজো বন্ধ হয়নি। পুজো চলাকালীন কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও, পুজো বন্ধ হয়নি। এ বাড়িতে দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। ফলমূল, লুচি-মিষ্টি দিয়েই পুজো হয়। একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকেন। এসব প্রত্যক্ষ দেবতা ছাড়াও আরও অনেক দেবতার পুজো হয়। নিয়ম মেনে হয় সন্ধিপুজোও। তবে কুমারি পুজো হয় না এ বাড়িতে। জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে এখনও ভিড় করেন দূর-দুরান্তের মানুষ।  {link} স্থানীয় বহু মানুষের এই মন্দিরে পুজোর সময় মহিলাদের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকলেও এর বিরুদ্ধে সেইভাবে আজ পর্যন্ত কেউ সেইভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি। বহু বছর ধরে চলতে আসা নিয়মের ছক ভাঙার চেষ্টাও করেননি কেউ। মহিলারাও মন্দিরের বাইরে থেকেই মায়ের আশির্বাদ নিয়ে চলে যান। হয়ত মায়ের ওপর আস্থা রয়েছে বিপুল, সেই কারনেই চেনা ছক ভাঙতে চান না তারা…  {ads}  

article thumbnail

বৈঁচির দাঁ পরিবারের মা দুর্গা লোকমুখে ছেলে ধরা দুর্গা নামে খ্যাত

দশ হাতের দেবী দুর্গাই শুধু নয়, বাংলার মাটিতে দেবী পূজিতা হন অভয়া রূপেও। কিন্তু অবাক করা কথা কোথায় জানেন? এই গ্রামে দেবী দুর্গা পরিচিত ছেলেধরা দুর্গা নামে। একইভাবে দেবী দুর্গা নন, বৈঁচির দাঁ পরিবারে পুজো হয় দেবী অভয়ার। মা দুর্গারই এক রূপ অভয়া। দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন, অভয়া রূপ তেমন নয়। তাঁর হাতে ধরা এক বালক। লোকমুখে এ দুর্গা ছেলে ধরা দুর্গা নামেই খ্যাত। {link} জনৈক ব্যবসায়ী বিনোদ দাঁ এই পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, চাঁদ সওদাগরের আমল থেকেই তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসা করে আসছেন। বিনোদবাবুর আমলে শ্রীবৃদ্ধি হয় ব্যবসার। তিনিই শুরু করেন অভয়া দুর্গার পুজো।  {ads} কেন এ রূপের পুজো হয়? বাণিজ্যে যাওয়ার পথে চাঁদ সওদাগর দেবীর কমলেকামিনী রূপ দেখেন। রাজাকে সে রূপ দেখাতে না পারায় তাঁকে বন্দি করা হয়। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচাতে তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর রওনা দেন। তিনিও দেবীর ওই রূপই দেখেন। তিনিও রাজাকে দেবীর ওই অপরূপ মূর্তির কথা বলেন। রাজা দেবীর ওই মূর্তি দর্শন করতে চান। শ্রীমন্ত তাঁকে তা দেখাতে না পারায়, বণিকপুত্রকে জলে ফেলে দেন রাজা। তখন অভয়া রূপে দেবী উদ্ধার করেন শ্রীমন্তকে। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে শ্রীমন্ত দেবীর অভয়া রূপেরই পুজো করেন। দাঁ বাড়িতে সেই রূপেই বিগত ২০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী অভয়া। {link} একচালার প্রতিমা। দেবীর সঙ্গে অসুর নেই। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ রয়েছেন। বিনোদবাবুর আমলেই একবার পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, থোড় ও কাশীর চিনি দিয়েই পুজো কর। সেই থেকেই থোড় ও কাশীর চিনি দিয়ে পুজো হয়। দাঁ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পুজোর সময় আনন্দে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে এই বিখ্যাত পরিবারের বাড়ি, দূর দূর থেকে মানুষ দর্শন করতে আসেন মাতৃমূর্তি। কিন্তু পুজো মিটলেই আবার শূন্যতা তার দাপট দেখাতে শুরু করে। পুজো শেষে দেবীর কাঠামো পড়ে থাকা খাঁ খাঁ দালানবাড়িতে। {ads}  

article thumbnail

এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা

কেউ যদি প্রশ্ন করে বাংলা ও বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব কোনটি, তাহলে এককথায় উত্তর আসবে একটিই, দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানের অনেক আনন্দ ভালোলাগা ও আনন্দের সংমিশ্রণ। রাত জেগে ঠাকুর দেখা বড়ো বড়ো প্যান্ডেল হপিং, থিম পুজোর রমরমা। কিন্তু এসবের মাঝেই আমরা বাংলার একটা পুরোনো সংস্কৃতিকে প্রায় ভুলতে বসেছি। সেটা বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সমস্ত বহুকাল থেকে চলে আসতে থাকা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোগুলি। এহেন এক পুজোরই আশ্চর্য উপাখ্যান আজ রইল শেফিল্ড টাইমসের রাজবাড়ির পুজোর আরও একটি নতুন পর্বে।  উল্লেখযোগ্যভাবে এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা। এঁরা প্রত্যেকেই হাজির জমিদার বাড়িতে। সেজন্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জমিদার বাড়ির পুজো ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ নামে খ্যাত। ইদানিং ধুলিয়ানে দুর্গাপুজো হলেও, পুজোর সূচনা হয়েছিল মালদহের দেওনাপুরে। এ পরিবারের প্রয়াত সদস্য রাঘবেন্দ্র রায় ছিলেন জমিদার। গঙ্গার ভাঙন ও বন্যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হত পরিবারের সদস্যদের। বাধ্য হয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে ১৮২৫ সালে ধুলিয়ানে চলে আসেন জমিদার পরিবার। নির্মাণ করা হয় দালানকোঠা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে আসেন দেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজো হচ্ছে ধুলিয়ানে।  পুজো শুরু হয় কৃষ্ণা নবমীতে। বিসর্জন হয় দশমীতে। অন্যত্র যেমন সন্তান-সন্ততি নিয়ে পুজো পান দেবী দুর্গা, এখানেও তেমনি। তবে এ বাড়িতে পুজো পান আরও ষোলোটি দেবদেবীর মূর্তি। এঁদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মহাদেব। তাঁর দুপাশে থাকেন নন্দী ও ভৃঙ্গি। তাঁরও ওপরে থাকেন গঙ্গা। দেবীর বামদিকে থাকেন বিজয়া এবং নরসিংহ। দেবীর সঙ্গেই থাকেন রাম, লক্ষ্ণণ। থাকেন বিষবাহন। আরও কিছু প্রতিমাও থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমার কাজ শুরু হয় রথের দিন।  পুজো হয় সূচনা লগ্নের সময়কার নিয়ম মেনে। বিসর্জনের দিন ঢাক বাজান পুরুষেরা। সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। কাঁধে করে দেবী মূর্তি নিয়ে গিয়ে আজও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও হয় বাইচ প্রতিযোগিতার। এক সময় বাইশ পুতুলের পুজো দেখতে আসতেন দূর-দুরান্তের মানুষ। এখন আর আসেন না। তবে এলাকাবাসী একবার হলেও দর্শন করে যান জমিদার বাড়ির মা-কে। দেবী মা-ও প্রত্যক্ষ করেন জমিদারদের ‘প্রজা’দের, হয়তবা তার আশির্বাদও লাভ করেন কেউ কেউ।  সারা বাংলা জুড়ে এহেন অসংখ্য অবাক করা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোর উপাখ্যান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি বা বলা চলে অধিকাংশই জানা এবং হয়ত বেশ কিছু অজানাও রয়েছে। মায়ের আসতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা....   {ads}

article thumbnail

হারিয়ে খোঁজার পথে(ধারাবাহিক)- নিখিল কুমার চক্রবর্তী{পর্ব-১০}

ঘরে ঢুকে নিশাকে দেখে প্রাথমিকভাবে একটু অবাক হলেও পর মুহূর্তেই স্বাভাবিক হয়ে গেলেন অনিমেষ দত্ত। একমুখ হাসি ছড়িয়ে বললেন --নমস্কার ম্যাডাম। আপনিই তাহলে সুমিতের হাসপাতালে না যাওয়ার কারণ। ওদিকে হাসপাতালে হই হই হচ্ছে। ডাক্তার গায়েব! নিশা কিছু বলল না। শুধু হাত জোর করে নমস্কার করল। সুমিত বলল --অনিমেষদা বসুন। আমি আর এক রাউন্ড কফি নিয়ে আসি। নিশা ক্লান্ত থাকলে বারেবারে কফি খায়।  সুমিত কিচেনে ঢুকে গেল। অনিমেষ দত্ত নিশাকে বললেন --কিছু একটা রিলেশন যে আছে তা সুমিতের আগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম। কিন্তু একেবারে আরামবাগে চলে আসার মতো রিলেশন বুঝতে পারিনি। সুমিত দেখলাম আপনার অভ্যাস সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল। তা, আপনি কেমন আছেন এখন? --মোটামুটি আছি।  --ভাল থাকতেই হবে। অতীতকে আঁকড়ে থাকলে ভাল থাকা যায় না ম্যাডাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভাল থাকা যায়। আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে জায়গাটা থেকে দূরে থাকতে পারবেন, কিন্তু নিজের থেকে দূরে থাকবেন কি করে?  নিশা এবারে সরাসরি অনিমেষ দত্তর মুখের দিকে তাকাল। খুব ধীরে ধীরে বলল --যা ঘটেছে আপনি সবই জানেন। এরপরেও কি ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান দিতে পারবে? --সম্মান কেউ কাউকে দেয় না ম্যাডাম। নিজেকে অর্জন করতে হয়। কলেজে আপনার সুনাম ভাল পড়ানোর জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আপনাকে ভালবাসে আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার জীবনে কি ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জীবন আর জীবিকা এক জিনিষ নয় ম্যাডাম। {link} একটা ট্রেতে তিনটে কফিমগ নিয়ে সুমিত এসে বসল। ওদেরকে একটা করে কফিমগ হাতে দিয়ে নিজেও একটা নিয়ে নিশার পাশে বড় সোফা সেটটায় বসল। অনিমেষ দত্ত ততক্ষণে সিঙ্গল সেটটায় বসে পড়েছেন। কফিতে চুমুক দিয়ে সুমিত বলল --অনিমেষদা, আপনাকে বলতে পারিনি যে নিশাকে আমি চিনি। একপাড়াতে আমরা বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। ও একচুয়ালি একেবারে ছোট্টবেলা থেকে আমার সাথে ছিল। পাস্ট টেন্স ইউজ কেন করছি তা আপনি ভাল করেই জানেন। তবে ওর কাছে আমি ঋণী। ও মোহনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে আজকের সুমিতের জন্ম হত না। ওর কথা অনেকবার আপনাকে বলার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু হাসির খোরাক হবার ভয়ে বলিনি। সুমিতকে থামিয়ে অনিমেষ দত্ত বললেন --এতদিনে দাদাকে এই চিনলে ভায়া? সবার জীবনেই কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমি মনে করি সেসব কথা সবাইকে না জানানই ভাল। সবাই সমানভাবে নিতে পারে না। তবে নির্ভরযোগ্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারলে ভাল হয়। জানলাম, তুমি আমাকে নির্ভরযোগ্য ভাবতে পার নি। সুমিত উঠে অনিমেষ দত্তর কাছে গিয়ে তার হাত দুটো ধরে বলল --আপনি এরকম বললে আমার অপরাধের শেষ থাকবে না। বুঝতে পারছি, আপনাকে না বলে ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। অনিমেষ দত্ত সুমিতকে ধরে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন --ওসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। যা বুঝলাম নিশা ম্যাডাম তোমার ছোটবেলার সঙ্গী। তোমাকে ছেড়ে মোহনকে বিয়ে করে চলে যাওয়াতে তোমার কষ্ট হয়েছিল। তুমি নিজের খোলনলচে বদলে ফেলেছ। মানে, তুমি নিশাকে খুব ভালোবাস। তা, ওকে কোনদিন বলেছ ভায়া যে, তুমি ওকে ভালবাসো? --সেটাও কি মুখে বলতে হয় দাদা? ও বুঝতে পারে নি কেন? --বলতে হয় ভায়া। অনেক কথা যেমন বলতে নেই, তেমনি অনেক কথা সময়ে বলতে হয়। ভালবাসার লোককেও বলতে হয় "আমি তোমাকে ভালবাসি।" "শক্তি" বলে একটা হিন্দী মুভি থেকে আমি এটা শিখেছিলাম। শেষ দৃশ্যে পুলিশ বাবা স্মাগলার ছেলেকে গুলি করার পর ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,"তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। তোকে ছেড়ে আমি বাঁচব না।" উত্তরে ছেলে বলছে, "বাবা, এতদিন একথা তুমি বল নি কেন? তাহলে তো আমি স্মাগলার হতাম না।" ছেলে ভাবত বাবা তাকে ভালবাসে না। তাই বলছি ভায়া, শুধু ম্যাডামকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। দোষ তোমারও আছে। ভাষায় ভালবাসার প্রকাশটা খুব জরুরী। {ads} নিশা দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে। অনিমেষ দত্তকে নতুন রূপে দেখছে এখানে। কলেজে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে তার রূপ দেখেছে। এখানে তার রূপ এক অভিভাবকের। সত্যিই সে যেন সুমিতের দাদা। সে যদি এরকম এক দাদা পেত তাহলে হয়ত তার জীবনটা এভাবে তছনছ হত না। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস হালকাভাবে নিশার বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। অনিমেষ দত্ত যাই বলুন না কেন সুমিতের থেকে তার অপরাধ অনেক বেশি। সুমিতের ডেডিকেশনে তার প্রতি ভালবাসা যথেষ্টই প্রকট ছিল। সেই বুঝতে পারেনি। বোধহয় এত ভালবাসার যোগ্য সে নয়। নিজের দোষে সে নিজের জীবন শুধু নষ্ট করেনি সুমিতের জীবনটাও শুকনো করে দিয়েছে। নিজের অজান্তেই তার দুচোখ ছাপিয়ে জলের ধারা নেমে এল। {link} অনিমেষ দত্ত পোড় খাওয়া লোক। জীবনে অনেক বাঁক, অনেক তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের জীবনে এমন না হলেও অনেকটা একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কলেজ জীবনের প্রেম সংসারে বাস্তবায়িত হয়েছিল।  ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনিমেষ দত্ত। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হলেও পড়াশোনায় কোন অবহেলা ছিল না তাঁর। কলকাতার কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে হস্টেলে না থেকে মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওঁর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রুনিরা ঐ বিল্ডিঙের অন্য ফ্ল্যাটে আসে। রুনিরও তখন গ্র্যাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ার। ওরা আগে দমদমে থাকত। ওর বাবা মা দুজনেই করপোরেট সেক্টরের এমপ্লয়ি। ওদের পুরো পরিবারটাই অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। যে যাপনে আবার অনিমেষ দত্তরা অভ্যস্ত নয়। দমদমের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ওরা নাকি এখানে উঠে আসে। তখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবেই নি অনিমেষ দত্ত। এখন মনে হয় ভাবা উচিত ছিল। তবে মফস্বলের ছেলেকে কি কারণে কলকাতার রুনি মুখার্জী ভালবেসেছিল তা আজও অনিমেষ দত্তর কাছে অজানা। আদৌ ভালবেসেছিল কি? সেটাও তো অজানা এখনও। ভালবাসলে বিয়ের ছ মাসের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কেন?  {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

History: ৭ নভেম্বর বিশ্ব ঐতিহাসিক দিন

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ, ৭ নভেম্বর বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক মনস্ক মানুষদের কাছে একটা বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর সেই দিন, যেদিন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে এবং জারবাদী শাসনের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে। এটাই বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। স্বাভাবিক কারণেই সমাজতন্ত্রীদের কাছে এই দিনটি সত্যি ঐতিহাসিক দিন। লেনিনের নেতৃত্বে বলসেভিকেরা ক্ষমতা দখল করার পরে সেই দলের নাম দেয় 'সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি'। সেই সময় জার শাসনে ক্ষত-বিক্ষত রাশিয়ার মানুষ। তীব্র অভাব, ভয়ঙ্কর শোষণ, নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে যে বিপ্লব ঘটেছিল, তা যেন মুক্তির হাওয়া এনে দিলো দরিদ্র শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণীর সামনে। তারা গঠন করলো নিজেদের সরকার। আর সরকারের প্রধান নীতি আগেই কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন - 'দেশের মানুষ সাধ্য অনুযায়ী শ্রম দেবে আর রাষ্ট্রশক্তি তাদের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নেবে।' বিশ্বজুরে তৈরী হলো এক নতুন উন্মাদনা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো সমাজতন্ত্রের বার্তা।  {link}   রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের এই বিপ্লবের পটভূমি তৈরী হয়েছিল বহু বছর আগের থেকেই। বিশেষ করে ১৯০৫ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জার শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবার করলে জারদের পুলিশের নির্মম অত্যাচারে কয়েকশো শ্রমিক হতাহত হয়। এটাই অন্যতম কারণ যে, জারদের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আর তখনই তারা তৈরী করেন 'সোভিয়েত' নামে এক কাউন্সিল। ওই ১৯০৫ সালেই জাপানের হাতে পরাজিত হয় জার শাসক ও তাদের বিপুল আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এর পরেই রাশিয়া ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মিত্র হয়ে জার্মাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পর্যদুস্থ হয়। দেশে নেমে আসে আরও গভীর সংকট। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সংগঠন তৈরী করে বলসেভিকরা (পরে কমিউনিস্ট পার্টি)।  {link}   এর পরেই বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে কমিউনিস্ট আন্দোলেন। ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থাৎ জনগনের সরকার গড়ার আন্দোলনে সাফল্য আসে মাও-সে-তুঙয়ের নেতৃত্বে চিনে। তারপরে একে একে একে ফিদেল কাস্ত্রের নেতৃত্বে কিউবা,প্যাথ লাওয়ের নেতৃত্বে লাওস,হোচি মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আর লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশে গড়ে ওঠে কমিউনিস্ট পার্টি ও কমিউনিস্ট আন্দোলেন। স্বাভাবিক কারণেই ৭ নভেম্বর বিশ্বের 'সমাজতন্ত্রী' দের কাছে একটা বিশেষ সম্মানের দিন। কার্ল মার্ক্স যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্যই মহামতি লেনিন বার বার বলতেন -  'দুনিয়ার মজদুর এক হও' - তা আজও প্রাসঙ্গিক। {ads}

article thumbnail

Research: মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ জল। আর সেই জলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অজস্র বিস্ময়। এমনই এক বিস্ময়কর মাছের সন্ধান দিলো বিজ্ঞানীরা। একেবারে মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের। সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর মাছের খোঁজ মিলল প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। বিস্ময়কর এই মাছটির নাম পেসিফিক লিংকোড। {link} সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, এই মাছের মুখেই রয়েছে ৫৫৫টি দাঁত। এই দাঁতগুলো রেজারের মতো ধারালো। বিজ্ঞানীরা এরপর বিস্ময়কর এই মাছটি নিয়ে গবেষণায় নেমে জানতে পারেন, এই মাছ প্রতিদিন ২০টি করে দাঁত হারায়। কিন্তু দিনের শেষে ফের সেই দাঁত গজিয়ে ওঠে সঠিক জায়গায়। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মেলে মাংসাশি এই মাছের।এখানেই বিস্ময়ের শেষ নয়। এই মাছ নিয়ে গবেষণায় আরো অনেক বিস্ময়কর ঘটনা উঠে এসেছে।এর মুখ খুব ভয়ঙ্কর। তবে মাত্র ২০/২২ ইঞ্চি লম্বা হয় এই মাছ। বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর মুখের মাছগুলির মধ্যে একটি হল এই পেসিফিক লিংকোড। এই মাছের চোয়ালের আস্তরণে প্রায় শত শত মাইক্রস্কোপিক দাঁত আছে। মাছটি ফ্যারিঞ্জিয়াল চোয়াল ও আনুষঙ্গিক চোয়ালের একটি সেট দিয়ে খাবার চিবোয়। {link} খাবার চিবনোর সমই তারা ২০টি করে দাঁত হারায়। পরে সেগুলি আবার গজিয়ে ওঠে এক দিনের মধ্যে। মাছটি সম্বন্ধে অনেকে জানলেও তাদের দাঁতের এই কাহিনি প্রায় অজানা। সেই নিয়ে চলেছে গবেষণা। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail

আবহাওয়া

আরো পড়ুন

Weather Report : জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা কবে থেকে পড়বে?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সকালে কিছুটা কুয়াশা। একটা ঠান্ডা শীতল বাতাস। বেলা বাড়লে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়া। তবে শীতের আমেজ অনেক বেলা পর্যন্ত বজায় থাকা। এটা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এই অবস্থায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর শোনালো আজকের আবহাওয়ার খবর। মঙ্গলবারের মতো আজ প্রায় একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। {link} তবে অধিকাংশ জেলায় শীত এখনও জোরসে কামড় বসায়নি। জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা কবে থেকে পড়বে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর। বিগত কয়েকদিনে বাংলার তাপমাত্রা অনেকখানি কমেছে। ঠাণ্ডাও পড়েছে একথা ঠিক। তবে এখনও অবধি জাঁকিয়ে পড়েনি। মঙ্গলবার যেমন শীত (Winter) কিছুটা কমই অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ নভেম্বর অবধি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ঠান্ডা ভালো অনুভূতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। {link} উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পুরুলিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কালিম্পং, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতেও সকালের দিকে কুয়াশার দাপট চোখে পড়তে পারে। এদিকে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা আবার ইতিমধ্যেই ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। {ads}  

article thumbnail

Weather Report : সমস্ত রাজ্যে বেশ সুন্দর হৈমন্তিক পরিবেশ বজায় থাকবে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বেশ শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা আর তার পরেই উত্তুরে বাতাসের অল্প কাঁপুনি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather) আরও কিছুটা নামবে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। {link}   আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় কুয়াশার দাপট থাকবে। শহর কলকাতার (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বেশ নেমেছে। পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি নামতে চলেছে বলেই হাওয়া অফিসের বার্তা। তবে সকাল ও রাতের দিকে ভালো কুয়াশা থাকবে। {link}   সমস্ত রাজ্যে বেশ সুন্দর হৈমন্তিক পরিবেশ বজায় থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) তাপমাত্রাও নামছে দ্রুত গতিতে। আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে না। তবে উত্তরে বেশ কিছুটা পারদ পতন হবে। কনকনে উত্তুরে হাওয়া ও কুয়াশা দুইয়েরই দাপট থাকবে উত্তরের জেলাগুলিতে। সেখানেও এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। {ads}

article thumbnail

Weather Update : রাজ্য জুড়েই এখন শীতের আমেজ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এবার বেশ সক্রিয় হয়ে উঠছে উত্তুরে হাওয়া। সকালের দিকে মর্নিং ওয়ার্ক (Morning work) করতে গিয়ে সকলের গায়েই উঠেছে হাল্কা গরম জামা। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সোমবার সকলে জানিয়েছে, এবার ঢুকবে শীতল হাওয়া। বইছে উত্তুরে হাওয়া। প্রথম স্পেলেই শান্তিনিকেতন ও পুরুলিয়ায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পারদ। কলকাতাতেও (kolkata) ১৮ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা থাকবে। রাজ্য জুড়েই এখন শীতের আমেজ। প্রথম শীতের আমেজের স্পেল থাকবে সপ্তাহ জুড়ে ৷ এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। {link} কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় শীতের আমেজ। রবিবার শহরে তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুলিয়া, শ্রীনিকেতনে তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিঙে (Darjeeling) রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) চার জেলায় মাঝারি কুয়াশা থাকছে। বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সকালের দিকে সব জেলাতেই হালকা কুয়াশা ও ধোঁয়াশা থাকবে। {link}   অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট থাকছে। এর মধ্যে মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। কুয়াশা থাকবে বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। দার্জিলিঙে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে। {ads}

article thumbnail

Weather Report : রবিবারের পরেই বাংলায় শীত কড়া নাড়বে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এবার সত্যি বলা যায় দুয়ারে শীত (Winter)। সকাল-সন্ধ্যায় বেশ শীতল বাতাস। উত্তুরে বাতাস জানান দিচ্ছে শীত এবার দুয়ারে। এই অবস্থায় শনিবার সকালে আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তুরে হাওয়াও ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে চলেছে বাংলায়। যার ফলে এক ধাক্কায় অনেক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে গিয়েছে বলেই খবর আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে। গত কয়েকদিন ধরেই ধীরে ধীরে বদল হচ্ছে আবহাওয়ার। আর মাত্র ২৪ ঘন্টা। {link} আজ শনিবার এবং আগামীকাল রবিবারের পরেই বাংলায় শীত কড়া নাড়বে (West Bengal Weather Update)। ইতিমধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও ১৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও ধীরে ধীরে অনেকটাই কমে গিয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়া আপাতত বজায় থাকবে বলেই পূর্বাভাস। শুধু তাই নয়, সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার থেকেই রাতের তাপমাত্রায় বড় বদল আসতে পারে। এক ধাক্কায় তাপমাত্রায় ২ থেকে তিন ডিগ্রি কমে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস।  {link} এমনকি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও আবহাওয়ার বড় বদল দেখা মিলতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে শীতের অনুভূতি আরও প্রবল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালের দিকে কুয়াশা দেখা যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরের জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানকার জেলাগুলিতে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। নতুন করে সেখানে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ২১ তারিখের পরে দার্জিলিংয়ে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। {ads}

article thumbnail

Weather: গ্রীষ্ম ও বর্ষার মতো শীতও বেশ জমিয়ে পড়বে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  এবার আর দেরি নেই। এমনিতেই কিছুটা দেরি হয়েছে। শীত ঢুকলো বলে। এখনই সকালের দিকে বেশ কিছুটা ঠান্ডা হইয়া থাকে। সেই অবস্থায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে তাদের আজকেই আবহাওয়ার রিপোর্ট। {link} আজ থেকেই পারদ নামবে। শনি ও রবিবার পারদ বেশ কিছুটা নামবে বলেই হাওয়া অফিস জানিয়েছে। উত্তরে হাওয়া ইতিমধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলোতে প্রবেশ করা শুরু করেছে। বিশেষকরে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ঠান্ডা পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শীত শীত ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার দাপটের ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।সেই ঘামের দিন শেষ। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা অনেকটা আজ থেকেই নামবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, এদিন কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। {link} অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল, তা আপাতত নেই। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা ও ধোঁয়াশা চোখে পড়ছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকা। দৃশ্যমানতা কোথাও ৫০ মিটার ছুঁতে পারে। বাকি সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা-ধোঁয়াশা। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল এবার গ্রীষ্ম ও বর্ষার মতো শীতও  বেশি পড়বে। {ads}

article thumbnail

Weather Update : রাজ্য জুড়ে শীতের আমেজের সম্ভাবনা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আর ২/৩ দিনের মধ্যেই শীত জানান দেবে তার উপস্থিতি। শুক্রবার তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নীচে নামতে পারে। রাজ্য জুড়ে শীতের আমেজের সম্ভাবনা। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফত। পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রার পারদ পতন হবে বেশ কিছুটা। {link} ১৫ নভেম্বর থেকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামবে। কমবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। রাজ্য জুড়েই শুষ্ক আবহাওয়ার দাপট থাকবে। এবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় আগুনের তাপ পোহানো শুরু হবে। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা কমতে পারে রাজ্যে। উত্তরে হিমালয় ঘেঁষা এলাকা এবং দক্ষিণে গাঙ্গেয় বাংলায় রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। {link} তবে ১৫ নভেম্বরের আগে সেই সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে এখনও হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। দিনভর পরিষ্কার আকাশ। বেলার দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। {ads}

article thumbnail

বিনোদন

আরো পড়ুন

Health News : কিডনি স্বাস্থ্যের কয়েকটি জন্য সেরা খাবার

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : ইদানিং কিডনির (kidney) অসুখ বেড়েই চলেছে। কিডনিতে ইনফেকশন (Kidney infection) ও পাথর এটা খুবই কমন অসুখে পরিণত হয়েছে। একটা সাধারণ তত্ত্ব হলো কিডনি ভালো রাখতে অনেক জল খেতে হবে। তবে আধুনিক গবেষকেরা মনে করেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের দুই থেকে আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত। তার বেশি বা কম নয়। {link} আধুনিক গবেষকেরা মনে করেন, জল খান, কিন্তু সঙ্গে কয়েকটি খাদ্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন। তাহলে আপনার কিডনি সুস্থ থাকবে। * রসুন কিন্তু কিডনি ভাল রাখতে যথেষ্ট সাহায‍্য করে। রসুনে রয়েছে অ‍্যান্টি-অক্সিড‍্যান্ট এবং অ‍্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা কিডনিতে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। * সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ৩ ফ‍্যাটি অ‍্যাসিডের পরিমাণ খুব বেশি। এই ধরনের মাছ কিডনির সমস‍্যা দূর করে। কিডনির প্রদাহ দূর করতেও পমফ্রেট, ট‍্যাংরা, ভোলা বেশ কার্যকর। {link} * অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার শরীরের যত্ন নেয়। কিডনি ভাল রাখে। রসুনের মতো অলিভ অয়েলেও রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা কিডনির প্রদাহ দূর করে। * খাবারের স্বাদে আলাদা মাত্রা আনে লাল ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার। ভিটামিন এ, সি, বি৬ সমৃদ্ধ এই খাবার কিডনি সুরক্ষিত রাখে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা কিডনি সুস্থ রাখে। {ads}

article thumbnail

Astrology: শুভ মুহূর্তের প্রতীক নারকেল

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : হিন্দু ধর্মে 'নারকেল' (Coconut) একটি খুবই পবিত্র ফল। প্রায় সমস্ত পুজো ও ধৰ্মীয় অনুষ্ঠানে নারকেল অপরিহার্য। যেকোনো নতুন কিছু কেনার পড়ে মানুষ নারকেল ফাটিয়ে তার উদ্বোধন করেন। এর পিছনে আছে বেশ কিছু জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় পরামর্শ। যেকোনও শুভ কাজেই নারকেল লাগে। তা পুজো হোক কিংবা বিয়ে। সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মীর সঙ্গে নারকেলের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। যদি আপনি আর্থিক দিকে উন্নতি করতে চান তাহলে এই নারকেল দিয়ে এই প্রতিকারগুলি করতে পারেন। বিশিষ্ট জ্যোতিষীরা বলেন - {link}   ১) আর্থিক দিকে উন্নতি করতে কী করবেন - একটি নারকেল, পদ্মফুল, দই, সাদা কাপড় ও সাদা মিষ্টি আপনি যদি দেবী লক্ষ্মীকে অর্পণ করেন, তাহলে আপনার আর্থিক দিকে খুব লাভ হবে। এটি করলে আপনার ব্যবসাতেও সাফল্য আসবে। ২) জীবনে সাফল্য পেতে কী করবেন - যদি জীবনে সাফল্য আনতে চান, তাহলে দেবী লক্ষ্মীকে একটি লাল কাপড়ে নারকেলে বেঁধে দিন। এতে আপনার জীবনের উপর থাকা সমস্ত সমস্যা দূর হবে ও অর্থ সংকট থেকেও বের হতে পারবেন।  {link}   ৩) ঋণ থেকে বের হতে পারবেন - আপনি কারোর কাছে প্রচুর ঋণী হয়ে থাকেন বা কারোর থেকে প্রচুর ঋণ নিয়ে থাকেন তা থেকে সহজে বের হতে আপনি বাড়িতে নারকেল গাছ লাগাতে পারেন। বিশ্বাস করা হয়, বাড়িতে নারিকেল গাছ থাকলে আপনি খুব সহজেই ঋণ মুক্ত হতে পারবেন। ৪) এটি করলে অবিবাহিতদের দ্রুত বিয়ে হবে - যদি আপনার বাড়িতে অবিবাহিত কোনও মহিলা থাকেন, তাঁর যদি বিয়ে না হয় এবং আপনি দ্রুতই তাঁর বিয়ে দিতে চান, তাহলে মঙ্গলবার একটি নারকেল সেই অবিবাহিত মহিলাকে দিয়ে জলে ভাসিয়ে দিন। এতে খুব দ্রুতই সেই নারীর বিয়ে হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র এও বলে যে এই সমস্ত কাজ আপনাকে করতে হবে মনে বিশ্বাস রেখে। তাহলেই আপনি ঠিক সাফল্য পাবেন। {ads}

article thumbnail

Ecology News: নব বিবাহিত জীবনে সুখের সূত্র

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : শীতের শুরু মানেই বাঙালির ঘরে 'বিবাহ' অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। কিন্তু সব বৈবাহিক সম্পর্ক (marital relationship) সুখের হয় না। কোনো কোনো বিবাহ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নববিবাহিত দম্পতিদের (Newly married couple) জীবনে ভালোবাসা পূর্ণ থাকা খুব দরকার। বাস্তুশাস্ত্র (Ecology)অনুসারে, দম্পতিরা যদি সঠিক দিকে মুখ করে না ঘুমান, তাহলে বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা আসবে, জানেন বিবাহিত দম্পতিদের ঘর কোন দিকে রাখা শুভ? তাই আমাদের জেনে নিতে হবে জ্যোতিষ ও বাস্তু শাস্ত্রের কয়েকটি পরামর্শ। {link}   ১) নবদম্পতিদের ঘরে যদি সুখ রাখতে চান ও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করবেন না, সহজে মাথা গরম করবেন না। কথায় কথায় তর্কাতর্কি করবেন না। মারামারি, হানাহানি করা এড়িয়ে চলুন।  ২) নববিবাহিতদের ঘর উত্তর-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। এই দিকটি বিবাহিত জীবনে প্রেম বৃদ্ধির দিক। তবেই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আপনি সুখে থাকতে পারবেন। জীবনে কোনও অসুবিধা আসবে না। এমনকি দাম্পত্য জীবনেও আপনার সুখ লেগে থাকবে। {link}    ৩) সদ্য বিবাহিত ব্যক্তিদের বিছানা কোনও ধাতুর জিনিস দিয়ে তৈরি করা উচিত নয়। এতে কিন্তু আপনার বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা আসবে। এমনকি অর্থহানি হতে পারে।  ৪) বর্গাকার কাঠের বিছানায় শোওয়া নববধূর জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। এতে তাদের জীবনে সুখ লেগে থাকবে। এমনকি আর্থিকদিকে লাভ হবে আপনার।  ৫) বিছানায় কোনও উপহার বা বাসন একদমই রাখবেন না। তাহলে কিন্তু আপনার বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা আসবে।   ৬) নব বিবাহিত দম্পতিদের ঘরের রঙ হালকা রাখা উচিত। নীল, কালো রঙ একদমই করবেন না। এতে তাদের জীবনে অশান্তি সম্মুখীন হতে হতে পারে। {ads}

article thumbnail

Bollywood : শুটিং ফ্লোরে অমিতাভকে নিয়ে বচসা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) তখন বলিউডে একটা জায়গা খুঁজছেন। আর রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) তখন বেশ প্রতিষ্ঠিত। সেই সময়ের একটা ঘটনা জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan) সামনে নিয়ে আসলেন। ফ্লোরে একবার রাজেশ প্রকাশ্যেই অমিতাভকে নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন যা মোটেও ভালভাবে নেন নি জয়া। {link} প্রেমিকের অপমান সেদিন তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিনি রীতিমতো ঝগড়া করেছিলেন রাজেশের সঙ্গে। তখন রাজেশের শুটিং চলছে। 'বাবরচি’ (Bawarchi) র শুটিংয়ে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন জয়া ও রাজেশ। সেখানেই আচমকা রাজেশ বলতে শুরু করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। {link} এও বলেছিলেন, “জয়া বচ্চন বৃথাই ওই স্ট্রাগলরের পিছনে সময় নষ্ট করেছেন। কোনওদিনই ওই ব্যক্তির সঙ্গে সুখে থাকবেন না জয়া।” জয়া কিন্তু সেদিন কোমড় বেঁধে দু'কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন রাজেশজিকে। রাজেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি পাল্টা বলেছিলেন, “একদিন অমিতাভই ইন্ডাস্ট্রি শাসন করবেন। ছাপিয়ে যাবেন রাজেশ খান্নাকেও।" বাস্তবে হয়তো তাই হয়েছে। অমিতাভ নিজেই হয়ে উঠেছেন একটা সম্পূর্ণ ইনডাস্ট্রি। {ads}

article thumbnail

Horror scope: আজকের দিনটা আপনার কেমন যাবে?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়।  মেষ  আধ্যাত্মিকের পাশাপাশি শারীরিক উন্নতির জন্য ধ্যান এবং যোগ চর্চা করা লাভজনক প্রমাণিত হবে। আপনার খরচা নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করুন- এবং আজ কেবলমাত্র জরুরী জিনিসই কিনুন। পারিবারিক দিক স্বচ্ছন্দেই যাবে বলে মনে হচ্ছে এবং আপনি আপনার পরিকল্পনাগুলিতে সম্পূর্ণ সমর্থন আশা করতে পারেন। কোন আকস্মিক বার্তা আপনাকে মিষ্টি স্বপ্ন দেখাবে। আজ, আপনি সত্য জানতে পারবেন যে কেন আপনার বস সবসময় আপনার সাথে অভদ্র ব্যবহার করে। বৃষভ  ব্যস্ত সময়সূচী সত্ত্বেএ স্বাস্হ্য সুন্দর থাকবে। কোনও পুরানো বন্ধু আজ আপনাকে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। তবে, আপনার সহায়তা আপনার আর্থিক অবস্থার দুর্বল করতে পারে। বাচ্চারা মনোযোগ দাবি করে কিন্তু সুখও বয়ে আনে। আপনার প্রণয়ী সমস্ত দিন মারাত্মকভাবে আপনি মিস্ করবে। একটি সারপ্রাইজ পরিকল্পনা করুন এবং এটিকে আপনার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন তৈরি করুন।  মিথুন  যেমন খাবার তার স্বাদ নুন থেকে আহরণ করে- কিছু অসুখীতা কেবলমাত্র আপনার সুখের মর্মোপলব্ধি করার জন্যই জরুরী। আপনার ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করতে অতীতে আপনি যে সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন তা আজ ফলস্বরূপ ফল পাবে। আপনার অসংযত জীবনযাত্রা বাড়িতে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে তাই দেরী করে রাত্রে বাড়ি ফেরা এবং অন্যদের উপর খুব বেশী খরচ এড়ানোর চেষ্টা করুন। আপনি জনপ্রিয় হবেন এবং সহজেই বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের আকর্ষিত করবেন। কর্কট  আপনার ক্ষমতা শক্তি বেশী থাকবে। অর্থের অভাব পরিবারে আজ মতবিরোধের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলার আগে ভাল করে চিন্তা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন। নাতিনাতনিরা প্রাচুর্যপূর্ণ খুশির উৎস হবে। বান্ধবী আপনাকে প্রতারিত করতে পারে। আজ আপনি অফিসে যে কাজ করছেন তা আগামী সময়ে ভিন্ন ভাবে আপনার উপকারে লাগবে।  {link} সিংহ  বাচ্চারা আপনার সন্ধ্যেটা উজ্জ্বল করবে। নিষ্প্রাণ আর কর্মব্যস্ত দিনকে বিদায় জানাতে একটি সুন্দর ডিনারের পরিকল্পনা করুন। ওদের সঙ্গ আপনার শরীরকে চাঙ্গা করে দেবে। আজ আপনার মা বা বাবার স্বাস্থ্যের জন্য আপনাকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে। এটি যদিও আপনার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটাবে তবে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। সাফল্য এবং খুশি আনবার এটি একটি ভালো সময়, আপনার উদ্যম এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের দেওয়া সমর্থনকে ধন্যবাদ জানান আপনি আপনার প্রিয়জনের হাতে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন।  কন্যা  আপনার সব সমস্যার জন্য সেরা প্রতিষেধক হল হাসি। নিজের জন্য অর্থ সাশ্রয়ের আপনার ধারণাটি আজ সম্পন্ন হতে পারে। আজ আপনি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। বাচ্চারা আপনার বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনাকে সাহায্য করবে। তাদের উৎসাহ দিন যাতে তারা বাড়তি সময়ে এসব কাজে আরো বেশী করে এগিয়ে আসে। প্রি়য়জনের কাছে আপনার উপস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত গড়ে তুলবে। তুলা  যখন আপনি কোন অভিমত দিচ্ছেন তখন অন্যদের অনুভূতির বিশেষ যত্ন নিন। আপনার দ্বারা নেওয়া কোন ভুল সিদ্ধান্ত যে শুধু তাদেরকে বিপরীতভাবে প্রভাবিত করে তাই নয়, বরং আপনাকেও মানসিক চাপ দেবে। কারো কারোর জন্য ভ্রমণ ক্লান্তিকর প্রমাণিত হতে পারে- কিন্তু আর্থিকভাবে ফলপ্রসূ হবে। বন্ধুরা আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সদুপদেশ দেবে। আকাশ আরো উজ্জ্বল হবে, ফুল আরও রঙিন মনে হবে, আপনার চারপাশের সবকিছু চকমক করবে; কারণ আপনি প্রেমে পড়ে গেছেন! বৃশ্চিক  আপনার অসাধারণ মেধা ক্ষমতার আপনার অক্ষমতাকে জয় করতে সাহায্য করবে। শুধুমাত্র ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমেই আপনি আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনি দ্রুত অর্থ উপার্জন করার আকাঙ্ক্ষার অধিকারী হবেন। পড়াশুনোর পরিবর্তে বাইরের কাজকর্মে অত্যধিক জড়িত থাকা আপনার অভিভাবকের রাগ ডেকে আনতে পারে।পেশা পরিকল্পনা করা খেলাধূলোর মতই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাবা মাকে খুশি করতে দুইয়ের মধ্যে সমতা রাখাই ভালো। আকস্মিক প্রেমঘটিত সাক্ষাৎ আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।  ধনু  পারিবারিক চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে না। কিছু বাড়তি পয়সা উপার্জনের জন্য আপনার উদ্ভাবনী চিন্তার ব্যবহার করুন। আপনি যার সাথে বাস করেন তিনি আপনার সাম্প্রতিক কাজকর্মে অত্যন্ত অতিষ্ঠ হবেন। আপনার সেরা আচরণ করা প্রয়োজন, কারণ এরফলে আপনার প্রেমিকা বেশি বির্পযস্ত হবে না। নতুন মক্কেলদের সাথে আপস আলোচনা করার জন্য এই দিনটি চমৎকার।  {link} মকর  সুস্বাস্হ্য আপনাকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করবে। যারা ক্ষুদ্রতর ব্যবসায় পরিচালনা করছেন তারা আজ তাদের বন্ধ হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ নিতে পারেন, যা তাদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে। আত্মীয়রা আপনাকে সমর্থন করবে এবং আপনার মন থেকে উত্যক্তকর বোঝা সরিয়ে নেবে। আপনার প্রাণের বন্ধু সমস্ত দিন আপনি সম্পর্কে চিন্তা করবে। আপনি আপনার ভালবাসার সঙ্গীর একটি নতুন বিস্ময়কর দিকে দেখতে পাবেন।  কুম্ভ  আপনার দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা সারাতে হাসি চিকিৎসা ব্যবহার করুন কারণ এটি সব সমস্যার সেরা প্রতিষেধক। আপনার স্ত্রীর সাথে একসাথে, আপনি আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য আপনার সম্পদের পরিকল্পনা করতে পারেন। আপনার পরিবা

article thumbnail

Jogighat : কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে 'যোগীঘাট' গ্রাম

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : একটু শান্তির খোঁজে কয়েক দিনের জন্য দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) অদূরেই 'যোগীঘাট' গ্রাম হোক আপনার এবারের ভ্রমণের ডেস্টিনেশন। কাঞ্জনজঙ্ঘা (Kangchenjunga) আর জঙ্গল একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে। পাহাড় এবং জঙ্গল একসঙ্গে। গরমের মধ্যে বেড়িয়ে পড়ুন ঠান্ডার আমেজ নিতে। তাহলে চলে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে। দার্জিলিঙের কাছেই রয়েছে পাহাড়ি গ্রাম যোগীঘাট (Jogighat)। কাঞ্জনজঙ্ঘার সঙ্গে জঙ্গল একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। শহুরে দূষণ থেকে কয়েক দিনের জন্য পরিবার নিয়ে চলে যান 'যোগীঘটে'। ওই গ্রামের মনোরম পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। {link}   রিয়াং নদীর পাশেই রয়েছে সেই গ্রাম। বসন্তে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে এই গ্রাম। নতুন গাছের পাতা দেখা দেয় এখানে। বসন্তে ফুলে ভরে ওঠে এই গ্রাম। কাঞ্চনজঙ্ঘা, জঙ্গল আর রিয়াং নদী মিলিয়ে এক অনন্য সৌন্দর্য।যোগীঘাটকে কমলালেবুর গ্রামও বলা হয়ে থাকে। এখানে কমলালেবুর বাগান রয়েছে। এই গ্রামে কমলালেবু উৎপাদনই প্রথন জীবিকা গ্রামবাসীদের। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থাত এই গ্রাম। এই গ্রামের আরেকটি বিশেষত্ব হল স্যালামেন্ডের। স্যালামেন্ডের হলো গিরগিটি প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় এক ধরনের উভচর ছোট্ট প্রাণী। উত্তর আমেরিকা ছড়া একমাত্র দার্জিলিংয়ে এখনো পাথরের খাঁজে এই প্রাণীটির দেখা পাওয়া যায়। এখানে প্রচুর স্যালামেন্ডার দেখা যায়। কাজেই জঙ্গল ভ্রমণ কমলালেবু বাগান তার সঙ্গে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীর  দর্শন পাওয়া যায় এই গ্রামে।মন ভোলানো প্রাকৃতিক পরিবেশে বেশ ঠান্ডা আবহাওয়ায় ৩/৪ দিনের জন্য বেড়ানোর খুব ভালো জায়গা। {link}   যাওয়া - হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে চলে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান রোহিনী রোড হয়ে কার্শিয়াং, দিলরাম হয়ে যাওয়া যায় যোগীঘাট। আবার আরেকটি রাস্তা রয়েছে সেবক রোড মংপু, লবদা হয়ে যোগীঘাট। যে পথে সুবিধা সেই পথে বেড়িয়ে পড়লেই হল। দুটি যাত্রা পথেই মনোরম পরিবেশ পাওয়া যাবে। দেখতে দেখতেই অর্ধেক সময় কেটে যাবে।থাকা - এখানে হোমস্টেতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল বলে তেমন কিছু নেই। একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি পাবেন এখানে। এখানে কাছাকাছি অনেক কিছু দেখার জায়গা রয়েছে। মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি রয়েছেছে। নামথিং পোখরি থেকে শুরু করে কার্শিয়াং ঘুরে আসতে পারেন। তার সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি হবে এখানে। এখানে তাঁবু খাটিয়ে থাকা ব্যবস্থাও রয়েছে। সেখানে অনায়াসেই থাকা যায়। সবটা মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। {ads}

article thumbnail