header banner
Unable to load live videos at this time.
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

সুসাস্থ্যা

আরো পড়ুন

Health News : সুগার নিয়ন্ত্রণে গুলঞ্চের শক্তি

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আয়ুর্বেদে (Ayurveda) গুলঞ্চ একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ৷ আয়ুর্বেদাচার্য সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে এটি একটি ঔষধি পত্র ৷ এতে শরীরের সমস্ত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকাল সকাল সেবন করলে ভিটামিন এ, সি, আয়রন ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম-সহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে যা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। {link} বিগত ৪০ বছর থেকে আয়ুর্বেদে ধন্বন্তরী রূপে কর্মরত ভুবনেশ্বর পান্ডে জানিয়েছেন গুলঞ্চে (Tinospora cordifolia) বিশেষ গুণ রয়েছে ৷ এই গাছ বিশেষ করে সম্পর্ক রয়েছে। রোগের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারে ৷ গুলঞ্চের সংস্পর্শে আসতেই বুঝতে পারা গিয়েছে ৷ সকাল সকাল খালি পেটে খেয়ে নিলে শরীর থাকবে এক্কেবারে টানটান ৷ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, একই সঙ্গে পাচনতন্ত্রকে মজবুত করে ৷ {link} গুলঞ্চতে সুগার অতি সহজেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে ৷ মানসিক শরীর স্বাস্থ্যও অত্যন্ত পরিমাণে ভাল রাখে ৷ একই সঙ্গে অন্য নানান রকমের সমস্যার নিবারণ করে থাকে ৷ বেশ কয়েক পদ্ধতিতে গুলঞ্চ সেবন করা যেতে পারে ৷ রস করে, শুকিয়ে চূর্ণ করে অথবা ট্যাবলেট রূপে খেতে পারেন ৷ খেয়াল রাখতে হবে গর্ভাবস্থা, অটো ইমিউন, এলার্জি, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে ৷ {ads}

article thumbnail

Pineapple : সুস্বাদু ফল, ওষধিগুণে ভরপুর

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আনারস (Pineapple) একটি রসালো ও সুস্বাদু ফল, যার টক-মিষ্টি স্বাদ সকলের মন জয় করে নেয়। অনেকেই সকালে ব্রেকফাস্টে আনারসের জুস খেতে পছন্দ করেন। এই ফল শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্য গুণেও সমৃদ্ধ। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আনারস সহজলভ্য হয় এবং আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটি একটি ওষধিগুণে ভরপুর ফল। আনারস পেটের জন্য খুবই উপকারী। এতে ‘ব্রোমেলিন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন ভেঙে হজমে সাহায্য করে। {link} এটি পাচনতন্ত্র সক্রিয় করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও অজীর্ণতা থেকে মুক্তি দেয়। খাবারের পরে কিছুটা আনারস খেলে পেট হালকা লাগে এবং খাবার সহজে হজম হয়। আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ও ঠান্ডা, কাশি ও সর্দি থেকে বাঁচায়। নিয়মিত আনারস খেলে ভাইরাল ও মৌসুমী রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। আনারসে থাকা ব্রোমেলিন শুধু হজমের জন্যই নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহনাশক) উপাদান হিসেবেও কাজ করে। {link} এটি গাঁটে ব্যথা, পেশির ব্যথা বা শরীরের কোথাও চোট লাগলে উপশম দিতে সাহায্য করে। আনারস শরীরের টিস্যু দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে, এজন্য এটি রিকভারি ডায়েটের অংশ হিসেবেও খাওয়া হয়। আনারসের রসও শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার ও পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। {ads}

article thumbnail

Health News : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁকরোলের জাদু

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বর্ষাকালে সহজলভ্য এই সবজিতে মাংসের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। বারাণসীর আক্যুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদাচার্য অনিরুদ্ধ পাণ্ডে অনুযায়ী, কাঁকরোল শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও একটি আশীর্বাদ। কাঁকরোল (Spiny gourd) একটি স্বাস্থ্যকর সবজি যা বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায়। সবুজ এবং গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজির বাইরের অংশে নরম কাঁটা থাকে। হিন্দিতে "কাক্রোল" নামে পরিচিত। এটি প্রাচীন আয়ুর্বেদেও ঔষধি গুণাবলীর জন্য বিখ্যাত।  {link} কাঁকরোল দুই ধরনের, স্বাদে মিষ্টি এবং তেতো। তেতো সবজিগুলি আরও সুস্বাদু হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, সেগুলি কম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, তামা, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে, এটি ওজন কমাতে (weight loss সহায়ক। এটি হজম প্রক্রিয়াকে নিয়মিত রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার থেকে মুক্তি দেয়। কাঁকরোল অনেক রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় কার্যকর। এই সবজিকে আয়ুর্বেদে ঔষধি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বড কাঁকরোল অনেক সমস্যার জন্য উপকারী। {link} এটি মাথাব্যথা, চুল পড়া, কানের ব্যথা কমায়। এই সবজিতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড প্রচুর পরিমাণে থাকে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা, রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে, তৃষ্ণা নিবারণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ইত্যাদি উপকারিতা রয়েছে। এটি পেটের সংক্রমণ, অর্শ, কৃমি ইত্যাদি সমস্যাও দূর করে। কাঁকরোল কম গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস (diabetes) নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। {ads}  

article thumbnail

Mosquitoes : মশা দূর করুন গাছের গন্ধে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বৃষ্টির দিনে মশা (mosquitoes) রুখতে ঘরেই ফলাও এই ৫টি গাছ, দেখুন জাদু! বর্ষার মরসুম মানেই জল জমা, মশার উপদ্রব আর সঙ্গে জ্বর-ডায়রিয়া-ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মত অসুখ। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে ঘরেই চাষ করতে পারেন কয়েকটি বিশেষ গাছ। মাত্র ৫টি গাছ যদি আপনি বাড়িতে রাখেন, তাহলে মশা আপনার বাড়ির ধারেও ঘেঁষবে না। শুধু মশাই নয়, নানা অসুখ থেকেও মিলবে মুক্তি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গাছগুলির নাম। {link} * তুলসী: তুলসী আমাদের ঘরের প্রায় প্রতিটি কোণেই থাকে। ধর্মীয় ও আয়ুর্বেদিক দিক থেকেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু জানেন কি? এর গন্ধে মশারা দূরে থাকে। তাই ঘরের জানালার ধারে কিংবা বারান্দায় তুলসীর গাছ রাখলে উপকার পাবেন। * পুদিনা: পুদিনা আমরা সাধারণত রান্নাঘরেই ব্যবহার করি। কিন্তু এই পাতার ঝাঁঝালো গন্ধ মশাদের একেবারে সহ্য হয় না। ঘরের এক কোণে একটা পুদিনা গাছ রাখলেই কাজ হবে। {link} * লেমনগ্রাস: লেমনগ্রাস শরীরের পক্ষেও উপকারী। এর পাতা ছিঁড়ে ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে দিলে মশারা আর আসবে না। চায়ের সঙ্গে ব্যবহার তো আছেই, সঙ্গে উপকারে লাগবে মশা তাড়াতে। * গাঁদা ফুল (জেন্ডু): গাঁদার গন্ধেও মশারা একেবারে কাবু! অনেকেই বাড়ির উঠোনে বা বারান্দায় গাঁদার গাছ লাগান। কিন্তু চাইলে আপনি এটিকে ঘরের ভেতরেও রাখতে পারেন। এই গন্ধে মশারা আর আসে না। * সিট্রোনেলা: এই গাছটিকে বলা হয় প্রাকৃতিক মশানাশক। সিট্রোনেলা গাছ বাড়িতে রাখলেই মশারা ঘেঁষতে চায় না। বর্ষার অসুখ থেকে বাঁচতে তাই এই গাছ রাখতেই পারেন ঘরের কোণে। {ads}

article thumbnail

Health News : প্রস্রাবে লক্ষণেই ধরা পড়তে পারে ডায়াবেটিস

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : শরীরের অন্দরে চলতে থাকা সমস্ত সমস‍্যার প্রতিফলন দেখা যায় শরীরের বাহ‍্যিক অঙ্গগুলিতে। ডায়াবেটিস (Diabetes), কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মতো চেনা সমস‍্যাগুলিও শরীরে দানা বাঁধার আগে বিভিন্ন সংকেত দিয়ে জানান দেয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস‍্যা থেকে প্রস্রাব, মল, দেহের রেচন পদার্থে দেখা যায় শরীরের মধ‍্যে চলতে থাকা সমস‍্যার লক্ষণ। {link} তেমনই ডায়াবেটির সমস‍্যার লক্ষণ দেখা যায় মানুষের মুত্রে। নিজের প্রস্রাবে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে তখনই সতর্ক হয়ে যান, আপনার শরীরের অন্দরে বাসা বেঁধেছে ডায়াবেটিস। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। কিডনি-সহ পুরো স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে চিকিৎসা নিলে, ডায়াবেটিসকে প্রাথমিক পর্যায়েই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রস্রাব তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে কিডনি। {link} কিডনি দেহে ছাঁকনির কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হয় কিডনীর রক্ত ছাঁকবার বা পরিস্রুত করার ক্ষমতা। ফলে বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়। বিশেষ করে রাতে এই সমস্যা আরও বেশি হয়। যদি এমনভাবে বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন হয় তবে একবার শর্করা পরীক্ষা করানো উচিত। প্রস্রাবে ফেনা প্রস্রাবে ফেনা উচ্চ রক্ত শর্করার সংকেত। রক্তে অতিরিক্ত শর্করা, প্রোটিন প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হয়। ফলে ফেনা দেখা যায়। {ads}

article thumbnail

Cholesterol : শরীরেই মিলতে পারে হাই কোলেস্টেরলের ৫ লক্ষণ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : কোলেস্টেরল (Cholesterol) মাপার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো ব্লাড টেস্ট। তবে কিছু ক্ষেত্রে মুখ বা শরীরেই উচ্চ কোলেস্টেরলের কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে। নিচে এমনই পাঁচটি সম্ভাব্য উপসর্গ নিয়ে আলোচনা করা হলো। ১) চোখের আশেপাশে হলুদ দাগ চোখের পাতার আশেপাশে হলুদ দাগ বা ছোট ফোলাভাব দেখা দিলে তা হাই কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। এই দাগগুলোকে জ্যান্থেলাজমা বলা হয়, যেগুলি চর্বিযুক্ত পদার্থ থেকে তৈরি হয়।  {link} ২) হঠাৎ দেখা দেওয়া ছোট ফুসকুড়ি বা গুটি এই গুটি বা দানা গুলিকে এরাপটিভ জ্যান্থোমাস বলা হয়, যা সাধারণত গাল, বাহু বা নিতম্বে দেখা দেয়। এগুলো দেখতে ছোট লাল বা হলুদ এবং অনেক সময় চুলকানির মতো হয়। এটি রক্তে অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড জমে যাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। ৩) চোখের কর্নিয়ার চারপাশে সাদা বা ধূসর রিং (আর্কাস সেনিলিস) চোখের স্বচ্ছ অংশ কর্নিয়ার চারপাশে ধূসর বা সাদা বৃত্ত দেখা গেলে তা আর্কাস সেনিলিস বা কর্নিয়াল আর্কাস হতে পারে। সাধারণত এটি বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা যায় এবং ক্ষতিকর নয়, তবে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে দেখা গেলে এটি হাই কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। {link} ৪) চামড়ায় নীলচে বা বেগুনি রঙের জালের মতো দাগ কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে শরীরের ছোট রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, যাকে কোলেস্টেরল এম্বোলাইজেশন সিনড্রোম বলা হয়। এর ফলে চামড়ায় নীল বা বেগুনি জালের মতো দাগ দেখা দিতে পারে। ৫) ত্বকে হলুদাভ ছোপ বা বিবর্ণতা (জ্যান্থোডার্মা) মুখ, চোখ বা শরীরের ত্বকে যদি হলুদ দাগ বা বিবর্ণতা দেখা দেয়, তবে সেটিও উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত হতে পারে। {ads}

article thumbnail

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Lychee : লিচু চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : অন্যান্য বার এতদিনে লিচু (Lychee) পৌঁছে যেত বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু এবছর তার ব্যতিক্রম দেখা গেল। যেটুকু ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে চাষিদের। কার্যত লোকসানের মুখে পড়েছেন পূর্বস্থলীর ফলেয়া, সিমলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার লিচু বাগানের লিচু চাষিরা। কিভাবে যে এই সমস্যার সমাধান হবে সেই নিয়েই বর্তমানে চিন্তায় রয়েছেন একাকার অনেকেই। {link} ভারত-পাক সংঘাতের আবহে লিচু পাড়ি দিচ্ছে না বিদেশে! সেই কারণেই এবার সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের লিচু চাষিরা। লিচু বাগান লিজ নিয়ে রীতিমত এবার হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। এইধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার একাধিক লিচু চাষি। কিন্তু এত টাকা খরচ করার পরে এবার আশাভঙ্গ হয়েছে চাষিদের। লাভ হবে কিনা সেই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এই প্রসঙ্গে লিচু চাষি হাসান শেখ জানিয়েছেন, “দুবাই, কাতার, আরব সহ বিভিন্ন দেশে এজেন্টের মারফত এই লিচু যেত। {link} কিন্ত যুদ্ধ আবহের জন্য এক্সপোর্ট বন্ধ রয়েছে। আমাদের পরিস্থিতি খুব খারাপ, ফলনও ভালো হয়নি।” রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর একটা আলাদা সুনাম রয়েছে। এই পূর্বস্থলী এলাকাজুড়ে চাষ হয় বিভিন্ন ধরনের সবজি। এছাড়া ফুলের চারার জন্যও এই জায়গার এক আলাদা খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু সবজি,ফুল ছাড়াও এখানে আম, লিচুর মত ফলও চাষ হয়। সেরকমই লিচু চাষ করে থাকেন অনেকেই। তবে এবার লিচু চাষ করে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Baruipur : বারুইপুরে লিচুর রাজত্বে খালি মুকুট

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : দঃ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর প্রধানত বিখ্যাত পেয়ারা, আম ও লিচু চাষের জন্য। কিন্তু এবার কৃষকদের কপালে অনেকটা ভাঁজ পড়েছে। বৈশাখ মাস শেষ , এখনও দেখা নেই বারুইপুরের (Baruipur) বিখ্যাত বোম্বাই লিচুর (lychee)। এদিকে, বাজারে শেষের মুখে দেশি লিচু বারুইপুরের ফলের বাজার ছেয়েছে জামরুল ও আমে। {link} শহরতলির বাজারেও একই চিত্র  কালিয়াচক, লালগোলা, মজফ্ফরপুরের লিচু ঢুকলে লিচুর বাজার জমজমাটি হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। জামাই ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে এই লিচুই দেবেন শ্বশুর-শাশুড়িরা। বারুইপুরের শিখরবালি ১ শিখরবালি ২. কল্যাণপুর, শঙ্করপুর ১. শঙ্করপুর ২. ধপধপি ১. ধপধপি ২. বেলেগাছি, মদারাট, হাড়দহ, বৃন্দাখালি পঞ্চায়েত এলাকায় লিচুর রমরমা চাষ হয়। প্রতি বছরেই এপ্রিল-মে মাসে বারুইপুরের কাছারি বাজার চত্বর ছেয়ে থাকে লিচুতে। এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও যায় সেই লিচু। কৃষকদের কথায়, দু’ধরনের লিচু হয়। দেশি অর্থাৎ গোলা লিচু ও বোম্বাই লিচু। {link} এক কৃষকের কথায় , দেশি লিচু এখন খুবই অল্প আছে। এখন বাজারে থাকার কথা বোম্বাই লিচুর। কারণ, বোম্বাই লিচুর ফলন একটু পরে আসে। কিন্তু সেই লিচুর ফলন এবারে তেমন হয়নি। তাই ব্যবসা এখনও জমেনি। কেন ফলন হয়নি বোম্বাই লিচুর? আবহাওয়ার জন্য গাছে বোল আসেনি। কুয়াশা আর জমাটি শীত না আসার জন্য বঙ্গে লিচুর ফলন হয়নি। তবে লিচুর অভাব পূর্ণ করছে জামরুল, আম। হিমসাগর থেকে শুরু করে গোলাপখাস, মধুবুলবুলি, বঙ্গে আমে ভর্তি বাজার। বারুইপুরে এবার আম ও জামরুলের ভালো ফলন হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Basirhat : ছাগল চাষের লাভের দিশা দেখছেন বসিরহাটের যুবক

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আদিমকাল থেকেই মানুষের সঙ্গে গৃহপালিত পশুর নিবিড় সম্পর্ক। বহু আদিবাসী সম্প্রদায় এখনও পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতি ছাগল চাষের লাভের দিশা দেখছেন বসিরহাটের (Basirhat) যুবক। এক সময় পশুপালন ছিল বেঁচে থাকা থাকার একমাত্র অবলম্বন, আর বর্তমান সময়ের পশু পালন করে সহজ উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। {link} ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল চাষ করে লাভের দিশা দেখছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের আকিপুরের যুবক জালাল উদ্দিন নূর। ছাগল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের এক অন্যতম প্রধান উৎস। ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল প্রজাতির নাম হলেও কালো রঙ ছাড়া বাদামী এবং সাদা রঙের প্রজাতির ছাগল কম সংখ্যায় দেখা যায়। গবাদি পশুর মধ্যে ছাগল পালন যতটা লাভজনক ও সহজ, অন্যগুলো তেমন নয়। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়িতে কুড়ি থেকে ২৫ টি ছাগল পালনে ভালো মুনাফা পেয়েছেন। {link} তবে আগামী দিনে ছাগল পালনে সংখ্যা আরও বাড়াবেন বলে জানান তিনি। এসব ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতা বেশি। সাধারণত এই প্রজাতির ছাগল বছরে দু'বার বাচ্চা প্রসব করে, পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক বাচ্চা উৎপাদন করে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল প্রধানত মাংস ও চামড়া উৎপাদনকারী জাত হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত। এদের গড় ওজন ১৫-২০ কেজি। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ছাগল পালনের মাধ্যমে একজন প্রান্তিক খামারি বাড়তি আয় করতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ টি ছাগল পালনের বছরের তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান উদ্যোক্তা জালাল উদ্দিন নূর। {ads}

article thumbnail

Business : 'জিরা' চাষে প্রচুর লাভের মুখ দেখছে কৃষকরা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : 'জিরা' (Cumin) এমনই এক শস্য, যার ওষধী গুণ অনেক। ফলে শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই জিরার চাহিদা প্রচুর। ভারতীয় রান্নার এর বহুল ব্যবহার। পাশাপাশি, ইউরোপে,বিশেষ করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের রান্নাতেও জিরে দেওয়া হয়। জিরের অনেক ঔষধিগুণও আছে। তাই এর চাহিদাও সবসময় তুঙ্গে থাকে। {link} নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরে চাষের জন্য উপযুক্ত। বেলে দোআঁশ এবং দোআঁশ মাটিকে জিরে চাষের জন্য উত্তম হিসেবে বিবেচিত করা হয়। তবে বীজ বপনের আগে ভালভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। তারপর তাতে সার প্রয়োগ করতে হবে। ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে নিয়মিত সার দিতে হবে। প্রতি হেক্টরে গোবর সার বা জৈব সার দিতে হয় ১০ টন। তাছাড়া যে জমিতে জিরে চাষ করা হবে সেখানকার আগাছাও পরিষ্কার করতে হবে। {link} বাজারে অনেক রকমের জিরের বীজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে আরজেড ১৯, আর ২০৯, আরজেড ২২৩ এবং জিসি ১-২-৩ বীজগুলিকে সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এই জাতের বীজ থেকে ১২০ থেকে ১২৫ দিনের মধ্যে জিরে তোলা যায়। ফসল পেকে গেলে ছোট ছোট আঁটি বেঁধে, খামারে এনে তারপর রোদে শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ জিরে আলাদা করতে হয়। তারপর চালুনি দিয়ে চেলে নিয়ে পরিষ্কার বীজ সংগ্রহ করা হয়। ভালোভাবে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৫১০ থেকে ৫৩০ কেজি ফলন পাওয়া সম্ভব। {ads}

article thumbnail

Business : বাণিজ্যতেই লক্ষ্মীর বাস

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : কথায় আছে বাণিজ্যতেই লক্ষ্মীর বাস। যদি সঠিক পথে বাণিজ্য করা যায় তাহলে ভালো লাভ করা যায়। ফলতার (Falta) নপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা শামীম মোল্লা বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই ফ্যান্সি মুরগি প্রতিপালনের ব্যবসায় বুঁদ হয়েছেন। বিদেশি মুরগির প্রতিপালন করার পাশাপাশি সেগুলি বিক্রিও করেন তিনি। শুধু এ রজ্যের বিভিন্ন জেলায় নয় অসম, বিহার, ওড়িশার মত রাজ্যের লোকজন শামীমের কাছ থেকে এই বাহারি মুরগি কিনে নিয়ে যান। আর পাঁচটি মুরগির থেকে একেবারেই আলাদা দেখতে। কোনওটার চোখ মুখ ঢেকেছে পালকে। কারও আবার বিরাট বড় লেজ। রঙেও রয়েছে চমক। {link} কেউ ধূসর কারও আবার সোনালী সাদা মিশ্রণের পালক। তারা প্রত্যেকেই ভিনদেশী।পোল্ট্রি খামারে যেন এক টুকরো বিশ্ব উঠে এসেছে। সেখানে আমেরিকা, চীন, নেদারল্যান্ডস, কলম্বিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের বাহারি মুরগির ঠাঁই হয়েছে। শামীমের ব্যবসায়িক দৃষ্টি খুবই প্রখর। সারাদিন খুবই পরিশ্রম করেন। ভালো লাভের মুখও দেখছেন। বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ রকমের বিদেশি মুরগির প্রতিপালন করেন শামীম। মূলত দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতের বড় বড় প্রতিপালকের কাছ থেকে এই মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে আদর যত্ন করে বড় করে তোলেন তিনি। তারপর চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা হয়। ওই যুবক বলেন, এইসব মুরগি বিদেশ থেকে বড় বড় প্রতিপালকরা নিয়ে আসেন। {link} তাঁদের কাছ থেকেই আমাদের সেগুলি কিনতে হয়। একেকটি মুরগির বাচ্চা ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়। শামীম হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে দুবাই এবং সৌদি আরবেহোটেলে কাজ করতেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বাহারি মুরগির ভিডিও দেখতে দেখতে নিজের মধ্যে সেগুলি প্রতিপালন করার ইচ্ছে তৈরি হয়। তাই দেড় বছর আগে বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন ওই যুবক। বর্তমানে শামীমের খামারে বড় হচ্ছে হোয়াইট আমেরিকান সিল্কি, গোল্ডেন আমেরিকান সিল্কি, ফ্রিজিল, পলিশ ক্যাপ, গোল্ডেন ওয়ায়েনডট, জাপানের ওনাগাদরি, সেব্রাইট, কলম্বিয়ান লাইট ব্রাহামা সহ বিভিন্ন দেশের মুরগি। {ads}

article thumbnail

Bankura : কিভাবে সম্ভব বাঁকুড়ায় আপেল চাষ?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় আঙুর ফলাতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে চৌদ্দ বছর। এখন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় সুমিষ্ট আঙ্গুর পাওয়া যায়। ঠিক সেই রকমই পরীক্ষামূলকভাবে বিগত কয়েক বছর ধরেই চাষ করা হচ্ছে আপেল (apple)। শুধুমাত্র প্রয়োজন একটু ধৈর্য ও সময়, তাহলেই হয়ত অদূর ভবিষ্যতে বাঁকুড়ার আপেল ছড়িয়ে যাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে এমনটাই আশা রাখছে বাঁকুড়ার মানুষ। {link} কৃষি গবেষণায় এখন আসাধ্য সাধন করা হচ্ছে। আশাবাদী কৃষি কর্মাধ্যক্ষা বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। তবে এর বাণিজ্যিকরণ করতে গেলে আরও সময় লাগবে।বাঁকুড়া জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষা বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত জানান “বাঁকুড়ার লাল মাটি এবং বাঁকুড়া জলবায়ু ইজরায়েলের সবুজ আন্না প্রজাতির আপেল চাষের জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হল ফলনের সময়ের তাপমাত্রা। {link} আন্না আপেল (Anna apple) বা সবুজ আপেল (green apple) ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ৮ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা খুব কমই বাঁকুড়া জেলায় আমরা পাই। একবার ফলন হয়ে গেলে প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এই আপেল।” আশা করা হচ্ছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে সবুজ আপেলের। এগুলো মূলত ইজরাইলি প্রজাতির আপেল। রসে গন্ধে ও পুষ্টিগুনে অতুলনীয়। {ads}

article thumbnail

পুজো সংখ্যা ১৪২৮

আরো পড়ুন

বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের

পুজোর যে আনন্দ তাতে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারী। মনের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক, ভয় যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল শেষ বছরেই। অতিমারী করোনা কেড়েছিল পুজোর জৌলুস। কিন্তু এবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই এবারও ঘটা করে পুজো হবে তমলুকের নন্দকুমারের বনেদি বাড়িতে। বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের। করোনার জন্য তা বন্ধ থাকছে এবছরও। যদিও অন্নভোগই নিবেদন করা হবে দেবীকে। {link}  পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল তমলুক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই জনপদের নাম। এই তমলুকেরই ব্যবত্তারহাট এলাকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবার গত চারশো বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করে আসছেন দেবী দুর্গার। বছরের পর বছর সুচারুভাবে পুজো হয়ে এলেও, করোনা অতিমারীর কারণে তা যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে এই দু বছর। তমলুকের রাজা তাম্বধ্বজের ব্যবস্থাপক ছিলেন এখানকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষরা। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। এই ব্যবত্তা পরিবারের পূর্ব পুরুষ ছিলেন সার্থক রাম। একবার সার্থক রামের মা দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন পাশের একটি গ্রামে। সেখানে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে এ বাড়িতে। কালক্রমে সেই পুজোই হয়ে আসছে দুই পরিবারের পারিবারিক পুজো। সুপ্রাচীন প্রথা মেনে আজও দেবীকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ অন্নভোগ। {link} এ বাড়িতে দেবীকে নিজের হাতে তৈরি বড়ি দিয়ে ভোগ দেন মহিলারা। ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে দেবীকে নিবেদন করা হয় এক মণ ছ সের চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নানা পদ। অষ্টমীতে ভোগের চালের পরিমাণ বেড়ে হয় এক মণ ৮ সের চাল। আর নবমীতে চালের পরিমাণ হয় এক মণ ন সের। রীতি মনে এখনও হয় সন্ধিপুজো। সেখানেও দেবীকে নিবেদন করা হয় খিঁচুড়ি ভোগ। দশমীতে হয় দধিকর্মা। সিঁদুর খেলার পর বিসর্জন হয় দেবীর। এ বাড়িতে হাজার খানেক সলতে পোড়ানো হয়।  জমিদার আমলের দুর্গামণ্ডপ ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন মণ্ডপ। এতদিন দেবীকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ খাওয়ানো হত দর্শানর্থীদের। করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ। অন্য সমস্ত পুজোগুলির মতো বদল আনা হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার রীতিতেও। আগে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া গেলেও, অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়েছে শুধুই করজোড়ে প্রার্থনা। কিন্তু যা কমেনি তা হল পুজোর এই দিনগুলিতে ঘরে আসা মায়ের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের… তারপরেই আবার বছর ঘুরে মা আসবেন তমলুকের নন্দকুমারের বাড়িতে।  {ads}

article thumbnail

আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীর

একসময় দেবীর আশির্বাদে মুক্তি মিলেছিল মহামারীর প্রকোপ থেকে। তাই আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীরও। তিনশো বছরেরও বেশি সময় আগে যখন পুজো শুরু হয়, তখনও পুজো হত মহামারীর। প্রজাদের কল্যাণে প্রতিদিন পোড়ানো হয় দেড় কুইন্টাল খই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির এটাই রীতি। এখনও এবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে গাওয়া হয় চণ্ডীমঙ্গল, ভারতগান। তিনশো বছর আগেও মহামারী হত। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল বেশ অনুন্নত। রোগের প্রকোপে উজায় হয়ে যেত গাঁয়ের পর গাঁ। তাই প্রজাদের মঙ্গলের জন্য মহামারীর পুজো শুরু হয় জমিদার দাস মহাপাত্রদের বাড়িতে। এবারও করোনা অতিমারীর হাত থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে প্রার্থনা করবেন এই পরিবারের সদস্যরা।  {link} কটকের খোরদার থেকে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে আসছিলেন জনৈক বিরিঞ্চি মোহান্তি। দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করেন। সুস্থ হয়ে জমিদারের সেরেস্তায় কাজ করতে শুরু করেন বিরিঞ্চি।  {link} বয়সকালে কাশী যাবেন মনস্থ করেন জমিদার। জমিদারি লিখে দিতে চান বিরিঞ্চিকে। বিশ্বস্ত কর্মচারী বিরিঞ্চি জমিদারকে প্রস্তাব দেন অর্ধেক সম্পত্তি জমিদারের মেয়েকে দিয়ে বাকিটা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার। সেই মতো অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়ায় থেকে যান বিরিঞ্চি। {ads} বিরিঞ্চির দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয় জমিদার। ছোট ছেলের জমিদারিতেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই ভাগের উত্তরসূরিদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর কয়েক পুরুষ আগে মোহান্তিরা ইংরেজদের কাছ থেকে উপাধি পেয়ে দাস মহাপাত্র হয়ে গিয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ রাজার দেওয়া উপাধি চৌধুরীও ব্যবহার করেন। প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় এ বাড়িতে। চলে দশমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই পুজো হয় মহামারীর। পোড়ানো হয় খই। দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য। এবারেও সেই নীতি মেনেই হবে পুজো। দেবীর আশির্বাদে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলুক পৃথিবীবাসীর এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে করছেন সকলে।  {ads}

article thumbnail

উত্তর দিনাজপুরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

বাংলার কাছে সবচেয়ে উৎসব মুখর দিনগুলিতে যে ঠাকুরের পূজা সম্পন্ন হয়, তিনি নিজে মাতৃরূপে বাঙালির ঘরে আসেন। কিন্তু সেই মায়ের পুজোতেই পুজোর দিনগুলোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের। সংসারের এহেন নিয়ম দেখলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এই রীতিই চলেও আসছে বহু বছর ধরে।  উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় এটাই রীতি। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার দর্শন করেন এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। জমিদারি এখন আর নেই। তাই সেই জাঁকও আর নেই। তবে পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই। {link} রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরেই বাস সেনেদের। এক সময় এঁদের বাস ছিল বাংলাদেশের যশোরে। পুজোর সূচনা করেন সুরেন্দ্রনাথ সেন। পরে বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে সেন পরিবার চলে আসেন রায়গঞ্জে, সুদর্শনপুরে। এখানে এই পুজো পড়ল ৭৬ বছরে। বাংলাদেশে যে রীতি মেনে পুজো হত, এখানেও তেমনটাই হয়। বৈষ্ণব নয়, এখানে পুজো হয় শাক্ত মতে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই বলি হয়। এ বাড়ির পুজোয় ছেলেরা অংশ নিতে পারলেও, মেয়েরা পারেন না। তবে মন্দিরের চাতালে বসে দেবদর্শন করতে পারেন।  {ads} কর্মসূত্রে বর্তমানে সেন পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনশো বছর আগে পুজো শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত একবারও পুজো বন্ধ হয়নি। পুজো চলাকালীন কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও, পুজো বন্ধ হয়নি। এ বাড়িতে দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। ফলমূল, লুচি-মিষ্টি দিয়েই পুজো হয়। একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকেন। এসব প্রত্যক্ষ দেবতা ছাড়াও আরও অনেক দেবতার পুজো হয়। নিয়ম মেনে হয় সন্ধিপুজোও। তবে কুমারি পুজো হয় না এ বাড়িতে। জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে এখনও ভিড় করেন দূর-দুরান্তের মানুষ।  {link} স্থানীয় বহু মানুষের এই মন্দিরে পুজোর সময় মহিলাদের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকলেও এর বিরুদ্ধে সেইভাবে আজ পর্যন্ত কেউ সেইভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি। বহু বছর ধরে চলতে আসা নিয়মের ছক ভাঙার চেষ্টাও করেননি কেউ। মহিলারাও মন্দিরের বাইরে থেকেই মায়ের আশির্বাদ নিয়ে চলে যান। হয়ত মায়ের ওপর আস্থা রয়েছে বিপুল, সেই কারনেই চেনা ছক ভাঙতে চান না তারা…  {ads}  

article thumbnail

বৈঁচির দাঁ পরিবারের মা দুর্গা লোকমুখে ছেলে ধরা দুর্গা নামে খ্যাত

দশ হাতের দেবী দুর্গাই শুধু নয়, বাংলার মাটিতে দেবী পূজিতা হন অভয়া রূপেও। কিন্তু অবাক করা কথা কোথায় জানেন? এই গ্রামে দেবী দুর্গা পরিচিত ছেলেধরা দুর্গা নামে। একইভাবে দেবী দুর্গা নন, বৈঁচির দাঁ পরিবারে পুজো হয় দেবী অভয়ার। মা দুর্গারই এক রূপ অভয়া। দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন, অভয়া রূপ তেমন নয়। তাঁর হাতে ধরা এক বালক। লোকমুখে এ দুর্গা ছেলে ধরা দুর্গা নামেই খ্যাত। {link} জনৈক ব্যবসায়ী বিনোদ দাঁ এই পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, চাঁদ সওদাগরের আমল থেকেই তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসা করে আসছেন। বিনোদবাবুর আমলে শ্রীবৃদ্ধি হয় ব্যবসার। তিনিই শুরু করেন অভয়া দুর্গার পুজো।  {ads} কেন এ রূপের পুজো হয়? বাণিজ্যে যাওয়ার পথে চাঁদ সওদাগর দেবীর কমলেকামিনী রূপ দেখেন। রাজাকে সে রূপ দেখাতে না পারায় তাঁকে বন্দি করা হয়। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচাতে তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর রওনা দেন। তিনিও দেবীর ওই রূপই দেখেন। তিনিও রাজাকে দেবীর ওই অপরূপ মূর্তির কথা বলেন। রাজা দেবীর ওই মূর্তি দর্শন করতে চান। শ্রীমন্ত তাঁকে তা দেখাতে না পারায়, বণিকপুত্রকে জলে ফেলে দেন রাজা। তখন অভয়া রূপে দেবী উদ্ধার করেন শ্রীমন্তকে। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে শ্রীমন্ত দেবীর অভয়া রূপেরই পুজো করেন। দাঁ বাড়িতে সেই রূপেই বিগত ২০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী অভয়া। {link} একচালার প্রতিমা। দেবীর সঙ্গে অসুর নেই। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ রয়েছেন। বিনোদবাবুর আমলেই একবার পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, থোড় ও কাশীর চিনি দিয়েই পুজো কর। সেই থেকেই থোড় ও কাশীর চিনি দিয়ে পুজো হয়। দাঁ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পুজোর সময় আনন্দে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে এই বিখ্যাত পরিবারের বাড়ি, দূর দূর থেকে মানুষ দর্শন করতে আসেন মাতৃমূর্তি। কিন্তু পুজো মিটলেই আবার শূন্যতা তার দাপট দেখাতে শুরু করে। পুজো শেষে দেবীর কাঠামো পড়ে থাকা খাঁ খাঁ দালানবাড়িতে। {ads}  

article thumbnail

এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা

কেউ যদি প্রশ্ন করে বাংলা ও বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব কোনটি, তাহলে এককথায় উত্তর আসবে একটিই, দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানের অনেক আনন্দ ভালোলাগা ও আনন্দের সংমিশ্রণ। রাত জেগে ঠাকুর দেখা বড়ো বড়ো প্যান্ডেল হপিং, থিম পুজোর রমরমা। কিন্তু এসবের মাঝেই আমরা বাংলার একটা পুরোনো সংস্কৃতিকে প্রায় ভুলতে বসেছি। সেটা বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সমস্ত বহুকাল থেকে চলে আসতে থাকা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোগুলি। এহেন এক পুজোরই আশ্চর্য উপাখ্যান আজ রইল শেফিল্ড টাইমসের রাজবাড়ির পুজোর আরও একটি নতুন পর্বে।  উল্লেখযোগ্যভাবে এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা। এঁরা প্রত্যেকেই হাজির জমিদার বাড়িতে। সেজন্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জমিদার বাড়ির পুজো ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ নামে খ্যাত। ইদানিং ধুলিয়ানে দুর্গাপুজো হলেও, পুজোর সূচনা হয়েছিল মালদহের দেওনাপুরে। এ পরিবারের প্রয়াত সদস্য রাঘবেন্দ্র রায় ছিলেন জমিদার। গঙ্গার ভাঙন ও বন্যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হত পরিবারের সদস্যদের। বাধ্য হয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে ১৮২৫ সালে ধুলিয়ানে চলে আসেন জমিদার পরিবার। নির্মাণ করা হয় দালানকোঠা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে আসেন দেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজো হচ্ছে ধুলিয়ানে।  পুজো শুরু হয় কৃষ্ণা নবমীতে। বিসর্জন হয় দশমীতে। অন্যত্র যেমন সন্তান-সন্ততি নিয়ে পুজো পান দেবী দুর্গা, এখানেও তেমনি। তবে এ বাড়িতে পুজো পান আরও ষোলোটি দেবদেবীর মূর্তি। এঁদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মহাদেব। তাঁর দুপাশে থাকেন নন্দী ও ভৃঙ্গি। তাঁরও ওপরে থাকেন গঙ্গা। দেবীর বামদিকে থাকেন বিজয়া এবং নরসিংহ। দেবীর সঙ্গেই থাকেন রাম, লক্ষ্ণণ। থাকেন বিষবাহন। আরও কিছু প্রতিমাও থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমার কাজ শুরু হয় রথের দিন।  পুজো হয় সূচনা লগ্নের সময়কার নিয়ম মেনে। বিসর্জনের দিন ঢাক বাজান পুরুষেরা। সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। কাঁধে করে দেবী মূর্তি নিয়ে গিয়ে আজও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও হয় বাইচ প্রতিযোগিতার। এক সময় বাইশ পুতুলের পুজো দেখতে আসতেন দূর-দুরান্তের মানুষ। এখন আর আসেন না। তবে এলাকাবাসী একবার হলেও দর্শন করে যান জমিদার বাড়ির মা-কে। দেবী মা-ও প্রত্যক্ষ করেন জমিদারদের ‘প্রজা’দের, হয়তবা তার আশির্বাদও লাভ করেন কেউ কেউ।  সারা বাংলা জুড়ে এহেন অসংখ্য অবাক করা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোর উপাখ্যান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি বা বলা চলে অধিকাংশই জানা এবং হয়ত বেশ কিছু অজানাও রয়েছে। মায়ের আসতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা....   {ads}

article thumbnail

হারিয়ে খোঁজার পথে(ধারাবাহিক)- নিখিল কুমার চক্রবর্তী{পর্ব-১০}

ঘরে ঢুকে নিশাকে দেখে প্রাথমিকভাবে একটু অবাক হলেও পর মুহূর্তেই স্বাভাবিক হয়ে গেলেন অনিমেষ দত্ত। একমুখ হাসি ছড়িয়ে বললেন --নমস্কার ম্যাডাম। আপনিই তাহলে সুমিতের হাসপাতালে না যাওয়ার কারণ। ওদিকে হাসপাতালে হই হই হচ্ছে। ডাক্তার গায়েব! নিশা কিছু বলল না। শুধু হাত জোর করে নমস্কার করল। সুমিত বলল --অনিমেষদা বসুন। আমি আর এক রাউন্ড কফি নিয়ে আসি। নিশা ক্লান্ত থাকলে বারেবারে কফি খায়।  সুমিত কিচেনে ঢুকে গেল। অনিমেষ দত্ত নিশাকে বললেন --কিছু একটা রিলেশন যে আছে তা সুমিতের আগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম। কিন্তু একেবারে আরামবাগে চলে আসার মতো রিলেশন বুঝতে পারিনি। সুমিত দেখলাম আপনার অভ্যাস সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল। তা, আপনি কেমন আছেন এখন? --মোটামুটি আছি।  --ভাল থাকতেই হবে। অতীতকে আঁকড়ে থাকলে ভাল থাকা যায় না ম্যাডাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভাল থাকা যায়। আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে জায়গাটা থেকে দূরে থাকতে পারবেন, কিন্তু নিজের থেকে দূরে থাকবেন কি করে?  নিশা এবারে সরাসরি অনিমেষ দত্তর মুখের দিকে তাকাল। খুব ধীরে ধীরে বলল --যা ঘটেছে আপনি সবই জানেন। এরপরেও কি ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান দিতে পারবে? --সম্মান কেউ কাউকে দেয় না ম্যাডাম। নিজেকে অর্জন করতে হয়। কলেজে আপনার সুনাম ভাল পড়ানোর জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আপনাকে ভালবাসে আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার জীবনে কি ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জীবন আর জীবিকা এক জিনিষ নয় ম্যাডাম। {link} একটা ট্রেতে তিনটে কফিমগ নিয়ে সুমিত এসে বসল। ওদেরকে একটা করে কফিমগ হাতে দিয়ে নিজেও একটা নিয়ে নিশার পাশে বড় সোফা সেটটায় বসল। অনিমেষ দত্ত ততক্ষণে সিঙ্গল সেটটায় বসে পড়েছেন। কফিতে চুমুক দিয়ে সুমিত বলল --অনিমেষদা, আপনাকে বলতে পারিনি যে নিশাকে আমি চিনি। একপাড়াতে আমরা বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। ও একচুয়ালি একেবারে ছোট্টবেলা থেকে আমার সাথে ছিল। পাস্ট টেন্স ইউজ কেন করছি তা আপনি ভাল করেই জানেন। তবে ওর কাছে আমি ঋণী। ও মোহনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে আজকের সুমিতের জন্ম হত না। ওর কথা অনেকবার আপনাকে বলার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু হাসির খোরাক হবার ভয়ে বলিনি। সুমিতকে থামিয়ে অনিমেষ দত্ত বললেন --এতদিনে দাদাকে এই চিনলে ভায়া? সবার জীবনেই কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমি মনে করি সেসব কথা সবাইকে না জানানই ভাল। সবাই সমানভাবে নিতে পারে না। তবে নির্ভরযোগ্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারলে ভাল হয়। জানলাম, তুমি আমাকে নির্ভরযোগ্য ভাবতে পার নি। সুমিত উঠে অনিমেষ দত্তর কাছে গিয়ে তার হাত দুটো ধরে বলল --আপনি এরকম বললে আমার অপরাধের শেষ থাকবে না। বুঝতে পারছি, আপনাকে না বলে ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। অনিমেষ দত্ত সুমিতকে ধরে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন --ওসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। যা বুঝলাম নিশা ম্যাডাম তোমার ছোটবেলার সঙ্গী। তোমাকে ছেড়ে মোহনকে বিয়ে করে চলে যাওয়াতে তোমার কষ্ট হয়েছিল। তুমি নিজের খোলনলচে বদলে ফেলেছ। মানে, তুমি নিশাকে খুব ভালোবাস। তা, ওকে কোনদিন বলেছ ভায়া যে, তুমি ওকে ভালবাসো? --সেটাও কি মুখে বলতে হয় দাদা? ও বুঝতে পারে নি কেন? --বলতে হয় ভায়া। অনেক কথা যেমন বলতে নেই, তেমনি অনেক কথা সময়ে বলতে হয়। ভালবাসার লোককেও বলতে হয় "আমি তোমাকে ভালবাসি।" "শক্তি" বলে একটা হিন্দী মুভি থেকে আমি এটা শিখেছিলাম। শেষ দৃশ্যে পুলিশ বাবা স্মাগলার ছেলেকে গুলি করার পর ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,"তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। তোকে ছেড়ে আমি বাঁচব না।" উত্তরে ছেলে বলছে, "বাবা, এতদিন একথা তুমি বল নি কেন? তাহলে তো আমি স্মাগলার হতাম না।" ছেলে ভাবত বাবা তাকে ভালবাসে না। তাই বলছি ভায়া, শুধু ম্যাডামকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। দোষ তোমারও আছে। ভাষায় ভালবাসার প্রকাশটা খুব জরুরী। {ads} নিশা দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে। অনিমেষ দত্তকে নতুন রূপে দেখছে এখানে। কলেজে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে তার রূপ দেখেছে। এখানে তার রূপ এক অভিভাবকের। সত্যিই সে যেন সুমিতের দাদা। সে যদি এরকম এক দাদা পেত তাহলে হয়ত তার জীবনটা এভাবে তছনছ হত না। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস হালকাভাবে নিশার বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। অনিমেষ দত্ত যাই বলুন না কেন সুমিতের থেকে তার অপরাধ অনেক বেশি। সুমিতের ডেডিকেশনে তার প্রতি ভালবাসা যথেষ্টই প্রকট ছিল। সেই বুঝতে পারেনি। বোধহয় এত ভালবাসার যোগ্য সে নয়। নিজের দোষে সে নিজের জীবন শুধু নষ্ট করেনি সুমিতের জীবনটাও শুকনো করে দিয়েছে। নিজের অজান্তেই তার দুচোখ ছাপিয়ে জলের ধারা নেমে এল। {link} অনিমেষ দত্ত পোড় খাওয়া লোক। জীবনে অনেক বাঁক, অনেক তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের জীবনে এমন না হলেও অনেকটা একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কলেজ জীবনের প্রেম সংসারে বাস্তবায়িত হয়েছিল।  ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনিমেষ দত্ত। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হলেও পড়াশোনায় কোন অবহেলা ছিল না তাঁর। কলকাতার কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে হস্টেলে না থেকে মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওঁর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রুনিরা ঐ বিল্ডিঙের অন্য ফ্ল্যাটে আসে। রুনিরও তখন গ্র্যাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ার। ওরা আগে দমদমে থাকত। ওর বাবা মা দুজনেই করপোরেট সেক্টরের এমপ্লয়ি। ওদের পুরো পরিবারটাই অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। যে যাপনে আবার অনিমেষ দত্তরা অভ্যস্ত নয়। দমদমের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ওরা নাকি এখানে উঠে আসে। তখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবেই নি অনিমেষ দত্ত। এখন মনে হয় ভাবা উচিত ছিল। তবে মফস্বলের ছেলেকে কি কারণে কলকাতার রুনি মুখার্জী ভালবেসেছিল তা আজও অনিমেষ দত্তর কাছে অজানা। আদৌ ভালবেসেছিল কি? সেটাও তো অজানা এখনও। ভালবাসলে বিয়ের ছ মাসের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কেন?  {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

History: ৭ নভেম্বর বিশ্ব ঐতিহাসিক দিন

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ, ৭ নভেম্বর বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক মনস্ক মানুষদের কাছে একটা বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর সেই দিন, যেদিন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে এবং জারবাদী শাসনের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে। এটাই বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। স্বাভাবিক কারণেই সমাজতন্ত্রীদের কাছে এই দিনটি সত্যি ঐতিহাসিক দিন। লেনিনের নেতৃত্বে বলসেভিকেরা ক্ষমতা দখল করার পরে সেই দলের নাম দেয় 'সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি'। সেই সময় জার শাসনে ক্ষত-বিক্ষত রাশিয়ার মানুষ। তীব্র অভাব, ভয়ঙ্কর শোষণ, নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে যে বিপ্লব ঘটেছিল, তা যেন মুক্তির হাওয়া এনে দিলো দরিদ্র শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণীর সামনে। তারা গঠন করলো নিজেদের সরকার। আর সরকারের প্রধান নীতি আগেই কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন - 'দেশের মানুষ সাধ্য অনুযায়ী শ্রম দেবে আর রাষ্ট্রশক্তি তাদের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নেবে।' বিশ্বজুরে তৈরী হলো এক নতুন উন্মাদনা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো সমাজতন্ত্রের বার্তা।  {link}   রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের এই বিপ্লবের পটভূমি তৈরী হয়েছিল বহু বছর আগের থেকেই। বিশেষ করে ১৯০৫ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জার শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবার করলে জারদের পুলিশের নির্মম অত্যাচারে কয়েকশো শ্রমিক হতাহত হয়। এটাই অন্যতম কারণ যে, জারদের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আর তখনই তারা তৈরী করেন 'সোভিয়েত' নামে এক কাউন্সিল। ওই ১৯০৫ সালেই জাপানের হাতে পরাজিত হয় জার শাসক ও তাদের বিপুল আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এর পরেই রাশিয়া ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মিত্র হয়ে জার্মাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পর্যদুস্থ হয়। দেশে নেমে আসে আরও গভীর সংকট। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সংগঠন তৈরী করে বলসেভিকরা (পরে কমিউনিস্ট পার্টি)।  {link}   এর পরেই বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে কমিউনিস্ট আন্দোলেন। ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থাৎ জনগনের সরকার গড়ার আন্দোলনে সাফল্য আসে মাও-সে-তুঙয়ের নেতৃত্বে চিনে। তারপরে একে একে একে ফিদেল কাস্ত্রের নেতৃত্বে কিউবা,প্যাথ লাওয়ের নেতৃত্বে লাওস,হোচি মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আর লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশে গড়ে ওঠে কমিউনিস্ট পার্টি ও কমিউনিস্ট আন্দোলেন। স্বাভাবিক কারণেই ৭ নভেম্বর বিশ্বের 'সমাজতন্ত্রী' দের কাছে একটা বিশেষ সম্মানের দিন। কার্ল মার্ক্স যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্যই মহামতি লেনিন বার বার বলতেন -  'দুনিয়ার মজদুর এক হও' - তা আজও প্রাসঙ্গিক। {ads}

article thumbnail

Research: মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ জল। আর সেই জলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অজস্র বিস্ময়। এমনই এক বিস্ময়কর মাছের সন্ধান দিলো বিজ্ঞানীরা। একেবারে মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের। সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর মাছের খোঁজ মিলল প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। বিস্ময়কর এই মাছটির নাম পেসিফিক লিংকোড। {link} সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, এই মাছের মুখেই রয়েছে ৫৫৫টি দাঁত। এই দাঁতগুলো রেজারের মতো ধারালো। বিজ্ঞানীরা এরপর বিস্ময়কর এই মাছটি নিয়ে গবেষণায় নেমে জানতে পারেন, এই মাছ প্রতিদিন ২০টি করে দাঁত হারায়। কিন্তু দিনের শেষে ফের সেই দাঁত গজিয়ে ওঠে সঠিক জায়গায়। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মেলে মাংসাশি এই মাছের।এখানেই বিস্ময়ের শেষ নয়। এই মাছ নিয়ে গবেষণায় আরো অনেক বিস্ময়কর ঘটনা উঠে এসেছে।এর মুখ খুব ভয়ঙ্কর। তবে মাত্র ২০/২২ ইঞ্চি লম্বা হয় এই মাছ। বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর মুখের মাছগুলির মধ্যে একটি হল এই পেসিফিক লিংকোড। এই মাছের চোয়ালের আস্তরণে প্রায় শত শত মাইক্রস্কোপিক দাঁত আছে। মাছটি ফ্যারিঞ্জিয়াল চোয়াল ও আনুষঙ্গিক চোয়ালের একটি সেট দিয়ে খাবার চিবোয়। {link} খাবার চিবনোর সমই তারা ২০টি করে দাঁত হারায়। পরে সেগুলি আবার গজিয়ে ওঠে এক দিনের মধ্যে। মাছটি সম্বন্ধে অনেকে জানলেও তাদের দাঁতের এই কাহিনি প্রায় অজানা। সেই নিয়ে চলেছে গবেষণা। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail

আবহাওয়া

আরো পড়ুন

Weather News : বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরেই চলেছে বৃষ্টি। আজকেও বৃষ্টি থাকবে। সকাল থেকে কিছুটা মেঘে ঢাকা আকাশ। বেলা বাড়লে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সাগরে থাকা নিম্নচাপ, উপকূলীয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকার উপরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত জোড়া অক্ষরেখা। {link} মঙ্গলবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বুধবার পর্যন্ত সতর্কতাও জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। অধিকাংশ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্ত জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে দোসর হতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। {link} এরপর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার অনেকাংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) আগামী রবিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আজ মঙ্গলবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় ঝড়-বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Weather News : আজ থেকে প্রবল বৃষ্টি সম্ভাবনা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : নিম্নচাপের জেরে আরও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আজ থেকে। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ শনিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। একাধিক জেলায় জারি রয়েছে সতর্কতাও। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আজ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই বৃষ্টি হতে পারে। {link} এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। এরপর রবিবারও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। {link} আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর ফলে আগামী সপ্তাহে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। উপকূলের জেলাগুলিতে অধিক বৃষ্টির পূর্বাভাস। অন্যদিকে আজ শনিবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। গোটা উত্তরবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Weather News : আজ কোন কোন জেলা ভিজবে?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : শুরু হয়েগেছে রথযাত্রা উৎসব। চারিদিকে উৎসবের মেজাজ। এর মধ্যেই প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর জেরেই আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও চলবে একাধিক জেলায়। আজ রথের দিন কোন কোন জেলা ভিজবে? {link} আজ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। অধিক বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই সমস্ত জেলার কিছু কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আগামীকাল শনিবারও একই রকম থাকতে পারে পরিস্থিতি। দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টির অধিক সম্ভাবনা। এরপর শনিবার কিছুটা কমতে পারে বৃষ্টি। {link} ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আপাতত নেই। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়।অন্যদিকে রথের দিন উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) ভারী বৃষ্টি হবে না। কোথাও কোনও সতর্কতা নেই। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না আগামী দু’দিনে। শনিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনি ও রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। {ads}  

article thumbnail

Weather Report : আজ থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বুধবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দপ্তর জানাচ্ছে, বুধবার বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী রবিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। {link} ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। বুধবার ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। বৃষ্টির পাশাপাশি অধিকাংশ জেলায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বুধ ও বৃহস্পতিবার একই রকম থাকতে পারে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। {link} শুক্রবার রথযাত্রার দিন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রবিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে সপ্তাহভর। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু অংশে আজ ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। {ads}  

article thumbnail

Weather News : চলতি সপ্তাহে বজায় থাকবে ভ্যাপসা গরম

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরমে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে। সকাল থেকেই গরম দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) জেলাগুলিতে। {link} আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেও চলে। জুনের মাঝামাঝি অবধি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেভাবে বৃষ্টি হবে না কোথাও। ফলত ভোগান্তি বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা ঢোকেনি। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলোতে স্থানীয়ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টি হবে না কোথাও। পাশাপাশি সেই সামান্য বৃষ্টিতে গরম বা অস্বস্তি কোনোটাই কমবে না। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ১০ দিন আগেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণাংশ একই জায়গায় স্থির। দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা এসে পৌঁছবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। {link} তবে আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান, নির্ধারিত সময় ১০ জুনের পরেই বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা। ২৯ মে থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এসে মৌসুমী অক্ষরেখা থমকে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হবে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এক লাফে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) যেহেতু বর্ষা ঢুকে গিয়েছে তাই ঝড়-বৃষ্টির সিলসিলা জারি থাকবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহারেও। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা এই সব জেলায়। {ads}

article thumbnail

Weather News : আজও একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি জারি আছে। এবার কিছুটা বৃষ্টি কমবে। তবে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। শনিবার হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজও একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার বদলের কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আজ শনিবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টিপাত হবে। {link} ভারী বৃষ্টি হবে না কোথাও। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মেঘলা থাকবে আকাশ। শনিবার অধিক বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকার কারণে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বহাল থাকতে পারে। সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে গোটা রাজ্যেই। {link} নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। তাই শনিবার পর্যন্ত উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগর, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল বরাবর মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। পর্যটকদের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘুরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে আজ ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) কালিম্পং, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার। ভারী বৃষ্টি না হলেও দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এরপর রবিবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙে বৃষ্টি হতে পারে। {ads}

article thumbnail